সন্ধ্যার আধাঁর ক্রমশ কেটে যাচ্ছে
হলদে চাঁদের কান্তি ভরে,
দূর থেকে বেইলি ব্রীজের অপর পাশটা
জীর্ণ কুঁড়ে ঘরের জানালার মত,
মাদার গাছটার সাথে ঝুলানো ছেঁড়া
সাদা পাঞ্জাবীটা মৃদু হাওয়ায় দুলছে।
হুঁতোমপ্যাচার ডাক যেন মৃত হৃদয়ের সিম্পনি ,
কুয়াশার কোল ভেঙ্গে ভেসে আসে
মানুষের মায়া কান্না!

অনেক দূরে চলে যেতে চাই
যতদূর গেলে মানুষ নেই;
মানুষের শ্বাস নেই, স্পর্শ নেই,
কোলাহল নেই,শুধুই নির্জনতা!
শান্ত নদীর কূল ধরে সন্ধ্যা নেমে আসা গ্রাম,
পাতাঝরা এলবেলে পথ, বাশঝাড়ে
শন্ শন্ শব্দ, কেয়া বনে জোনাকির দীপ জ্বলা-
যেখানে;
মৃত মানুষের ছায়া হেটে যায়
কর্দমাক্ত ঝিলের ধার ধরে একা কিংবা
সঙ্গী নিয়ে অথবা সদলবলে-যেখানে:
জ্যোছনা লেগেছে মোড়কের মত শিশিরে
পাতায়, ঘাষে অবৃত্ত অরণ্যে ভীষণ তেষ্টায়।

জীবনকে হাতে পুষি, পোষা ময়নার মত!
কেউ যদি দূর হতে হুইসেল দিয়ে বলে-
কোথায় যাওয়া হচ্ছে? সর্গে? নাকি নরকে?
সোজাসাপ্টা বলে দেবো, যেখানে মানুষ নেই!