শেষ পরীক্ষা,
আর তো কয়েকটা দিন, তবু সয় নাকো দেরি
মাগো তোর কাছে যেতে মন করে আহাজারি ।

প্রথম যখন আসিনু আমি
লাগত নাকো ভালো,
একা একা যেত সময়
পুরাই এলোমেলো ।

এভাবেই দিনের পর দিন
সময় হচ্ছে পার,
পরিশেষে পেলাম খুঁজে
কিছু বন্ধু আমার ।

আড্ডা মাস্তি ঘোরাঘুরি
আবার শুরু হলো,
আবার আমার চঞ্চল মন
নতুন করে জাগলো ।

স্কুল জীবন পার করে
কলেজেতে (আই. এইচ.টি) এসে,
পড়াশোনা হয়না মোটেও
হোস্টেলেতে বসে ।

নাইতো আর শাসন বারণ
বাবা মায়ের আদেশ,
বলেনা কেউ সন্ধ্যার পর
বাইরে যাওয়া নিষেধ ।

রাত্রি বেলা মাঝে মাঝে ঘুরতে যেতাম মেলা
নাগরদোলার দোলনা নয়, দোলারা দিত দোলা

সুন্দরীদের ভিড়ের মাঝে চলাফেরাই দায়
কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরি, কোন দিকটা সামলাই


ফিরতে ফিরতে হত যখন
অনেকখানি লেট,
দেখতাম এসে ঝুলছে তালা
বন্ধ করেছে গেট।

রেলিং ধরে আস্তে আস্তে
উপরেতে ওঠে,
ভাঙ্গা গ্রিলের মাঝখান দিয়ে
রুমে যেতাম ছুটে।  

ক্লাস শেষে বেল তলার ওই আড্ডা গুলো ভাই
মনে থাকবে আজীবন ভোলার উপায় নাই।

এদিকে কৌটা মামা চিল্লায় চিল্লায় হাঁকছে
ও মামা ছোলা তোমায় ডাকছে

কৌটা মামার পিয়াজ বড়া
গরম গরম ছোলা,
হাত দিলে পা যেত পুড়ে
আর সালাম মামার কলা ।

হোস্টেলের ওই দারুণ খাবার
নিতাম যখন মুখে,
তীব্র স্বাদে একটু পরেই
বেঁধে যেত বুকে ।

পাশ হবেনা অরুণ স্যারের ভয়ংকর হুংকার
ঘোরাঘুরি এত না করে রুমে গিয়ে পড়

পরীক্ষার আগের রাতে
বই খুলতাম যখন,
ভূ ভূ করে ঘুরতো মাথা
সাথে সাথেই তখন ।


শেষ করে পড়াশোনা
আরও হাতের কাজ,
ঘুমোতে ঘুমোতে হয়ে যেত
প্রায় ভোর রাত ।

স্মৃতিগুলো আজ ভাসছে মনে
হৃদয় জুড়ে সর্ব খানে

অনেক কিছুই আছে বলার
লিখবো পরে তা,
সব মিলিয়ে ভালই ছিলাম
আমি আমরা।