সাগর হইতে এক বালতি তুলিয়া আনি পানি
নিজ কর্যে ঢালিয়া লইয়া ফুরাইয়া এক্ষুণি ।
কলমের কালি শেষ হইবার সময় আসছে ঘনি
আকাশের বুকে স্বর্ণাক্ষরে রহিবে এই বাণী ।
গরুর দুগ্ধ পান করিয়া তৃষ্ণা মিটিয়ে লই
অমানুষ যত পাষাণের দল তোরা সব গেলি কই।
শামুক ভাঙা রক্তমাখা লালচে কালো পা
সূর্য শিকল শিক্ষা বিকল সব জননীর মা।
দিবসের সাথে মিষে থাকা যত হিংসা অহংকার
সময়ের সাথে সঠিক জবাব পাহিবা গুলবাহার।
তোমাদের যত ছলাকলা আর ভণ্ডামি চতুরতা
দিনশেষে কাল বসিবে সকলে লইয়া কলম খাতা।
কি যায় আসে তোমার সাথে যা কিছু হয় তাতে
আমার ভাগে পূবের যেন ডান দিকটা ঠিক থাকে।
চোখ আছে যার কত আফসোস চশমা কেন নাই
অথচ, দুচোখে কিছুই দেখেনা তারই আপনা ভাই।
ঝড়ের বাতাসে উড়ে না যেন, ভাঙ্গে না যেন হাল
অট্টালিকা চাইনা কারো, শুধু ভালো থাক তার চাল।
গরীবের ঘরে জন্মেছি বলে স্বাদ আহ্লাদ কম
যেটুকু হয়, শুধু মুছে যায়, কমে আসে যেন দম।
বাঁকানো ধনুক হাতে রেখে তীর নিশানা খুঁজিয়া যায়
দুবেলা আহার, দুমুঠো খাবার জোগাবো বলে তাই।