আমাকে ক্ষমা করে দিও
আমি অধম ,অধমেরও অধম
আমি তোমাকে দিতে পারিনি
চাঁদ, চাঁদের রূপোলী জোছনা
পূর্ণিমা রাত, নক্ষত্রের মেলা, শুকতারা, সপ্তর্ষিমণ্ডল...
আমি পারিনি তোমার হাতে হাত রেখে
আমার হৃদয়ের সমস্ত উষ্ণতা তোমার হৃদয়ে প্রবাহিত করতে
জগড়া-অভিমান, মৌনতা, আনন্দ, ঠা-ঠা হাসি
চোখে চোখে রেখে অপলক তাকিয়ে থাকতে।
দিতে পারিনি তোমাকে প্রজাপতি
ফুল, ফুলের পাপড়ি, সুগন্ধি স্বর্ণচাঁপার পবিত্রতা
পায়রার ঝাঁক, বিলাসী ক্যাকটাস
পলাশ শিমুল কৃষ্ণচূড়ার রক্তিমতা।
দিতে পারিনি মেঘ-মেঘ নীল আকাশ
সাদা মেঘের ভেসে যাওয়া, বৃষ্টির টাপুর-টুপুর
নরম ঘাস, ঘন উদ্যান
অচিন বৃক্ষরাজির সবুজের প্রচণ্ডতা।
আমার আসমুদ্র ব্যাপী ধেয়ে আসা হীরক দ্যুতিময়
ঢেউয়ের উচ্ছা শুধু তোমারই পায়ে
লুটানোর ছিল, পারিনি।
দীঘির নিটোল জল, শাপলা-পদ্ম স্নানের ঘাট
জলের কলস, উনুন, ঘটি-বাটি
চাল-নুন, কেরোসিন
আরো সব...
নথ-নূপুর, কাঁকন-কাতান, শুদ্ধতা
বালিশ তোষক-কাঁথা
শিশুর মোহন হাসি।
প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সবই
শুধু তোমাকে দেয়ার ছিল, পারিনি।
সোনালী আলোয় রাঙ্গা সকালের স্নিগ্ধতা
ভোরের শিশির, নরম রোদ, তপ্ত দিন, প্রখর সূর্য।
গাঁয়ের পথ, ক্ষেতের আল, সবুজের ঢেউ
বউ কথা কও, মাছরাঙ্গা, দোয়েলের শিস...
এসবের কিছুই তোমাকে দিতে পারিনি
আমি যে অধম, অধমেরও অধম, অপদার্থ, অক্ষম।
ক্ষমা করে দিও আমাকে
আমার সকল অক্ষমতাকে।
---------------------
পুনশ্চ- কৃতজ্ঞতা এস এম মোরশেদ চিশতী সুমনের কাছে
(আমাকে ক্ষমা করে দিও আমি অধম ,অধমেরও অধম)
লাইন টির জন্য।