রাজা কাহিনী-এক এর লিং :https://www.bangla-kobita.com/mostafizar/raja-kahini-1/
রাজা কাহিনী-দুই
একজন চিৎকার করে আবৃত্তি করছিল।
উড়োজাহাজ থেকে নেমে মঞ্চের কাছাকাছি এসে
কৃষক ক্ষুব্ধকণ্ঠে তার নাম জিজ্ঞেস করল।
কেউ কেউ মাথা ঘুরে তাকে দেখল বটে তবে
তেমন পাত্তা দিলো না
কেউ কেউ তার চিৎকারকে উৎপাত ভাবলো
বিরক্ত হলো ততোধিক।
কেউ তাকে তুচ্ছজ্ঞান করে বলে, কে রে এই
নতুন পাগল? চেনে না দেশের বিখ্যাত কবিকে।
পরে কৃষক জানল, তিনিই কবি রায়হান রহমান
আজ তার একক কবিতা পাঠ চলছে।
কৃষক রীতিমতো ক্ষেপে গেল
তার গা কাঁপছে রাগে।
সে গলার তেজ আরও বাড়িয়ে দিলো।
‘কবিতা পাঠ?
শুয়োরের বাচ্চা, আমাদের খেতে কাম করে
জান যায়, আর তোর গলাবাজি
এ কবিতা পড়ে তুই খাবি কী?
হাঁড়িতে ভাত দেবে তোর কোন বউ?’
কবিতা পড়া বন্ধ করে কবি,
কোনো প্রতিবাদ করে না।
কবি মাথা নিচু কর কৃষকের অশ্রাব্য গালিগালাজ
‘শীতের রোদে সরিষা তেলের মতো গায়ে মাখে।
পালের শূকরের মতোই
মঞ্চ থেকে ধীরে ধীরে নেমে এসে
কবি তার মুখোমুখি হয়ে বলে-
সামরিক ময়দানে আপনার জন্য
সাজিয়ে রাখা হয়েছে কামান,
এখনই শুরু হবে গান স্যালুট। আপনার পক্ষে
সে ঘোষণা দিতেই আমি এখানে এসেছি।
তিনি অনুমতির তোয়াক্কা না করে
নাটকীয় ভঙ্গিমায় কৃষকের হাত ধরে মঞ্চে উঠান।
সকলকে পরিচিত করে দেন।
দেখুন, আমি এতোক্ষণ যার কথা বলছিলাম
ইনিই সেই গণনায়ক, আমাদের রাজা।
সকলেই একে অপরের দিকে তাকায়।
কৃষকের কাদা-ঘাম মাখা শরীর এবং
কপালের কালো জন্মদাগটাকে তারা
অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে
তাদের মুখে কেনো রা নেই।
শুরু হয় গান স্যালুট।