আজ সকালে, এখানে, এ সীমান্তরেখা ধরে
যতগুলো পাহাড় ছিল বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে
অলৌকিক ভাবে ওরা এখন মুহ্যমান হ্রদে
পরিণত হয়েছে।
এতে আমার অনেক পুঁজির ভালোবাসা ও দীর্ঘ
প্রতীক্ষার মেহনত নষ্ট হলো।
এই হ্রদগুলোকে ভালোবাসার গান শুনিয়ে
পুনরায় পাহাড়ে পরিণত করা চাট্টিখানি কথা
নয়। তবে লাভ তুলতে হলে তো ঝুঁকি নিতেই
হবে। ব্যবসা মাত্র একথা অনস্বীকার্য।
আমি তোমাকে কাশশুভ্র মেঘ ছোঁয়াবার আশায়
পাহাড় তৈরির ঝুঁকি নিয়েছিলাম।
লাভও পেয়েছিলাম নগদেই। তোমার কাচনীল
চোখ ও মেঘশুভ্র হাসিতে সাজিয়েছিলাম সম্ভ্রান্ত
আকাশ। তারপর আমরা হরহামেশা পাহাড়ের
চিবুক থেকে ব্যালে নৃত্যের পারফর্মারের মতো
একাধিকবার মেঘ ছুঁয়েছি।
আজ সকালে ক্রূরমতি বৃষ্টির আকস্মিক অভ্যাগমন
পরিপূর্ণ ভিজিয়ে দিল আমাদের। আহ কী অসভ্য,
কী উন্মাদ বৃষ্টি!
কে জানতো এ অশিষ্ট বৃষ্টিই কাল হবে আমার প্রণয়
প্রকল্পের? সেই অনাচারী বৃষ্টি নিমিশে তলিয়ে দিল
তিলেতিলে গড়ে তোলা আমার সব পাহাড়।
তবে এই পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের যুগে পাহাড়কে
ফিরে পাওয়ার শর্তে আমি শতবার ঝুঁকি নেব।
প্রয়োজনে আমি ফৌজদারি মামলা দায়ের করে
বৃষ্টি ও মৌসুমি বায়ুকে গারদে পাঠাব।
আমি আবারও তোমার হাতে মেঘের ঐশ্বর্য তুলে
দিতে অপেক্ষায় থাকব এক কোজাগরী পূর্ণিমার।
প্রণয়ের নিপুণ পুর প্রকৌশলীর মতো আমি আবারও
কেবল তোমার জন্য নির্মাণ করব হ্রদের ওষ্ঠ জুড়ে
দ্বিতীয় মেঘপাহাড়।