কেন যেন মনে হয়, বড্ড একা আমি।
আপন বলতে যেন কেউ নেই আমার।
চারদিকে কত মানুষ, কত আপনজন
কত সংস্রব-সম্পর্ক, সবই যেন রঙিন
হাওয়াইমিঠার মতো তন্তুহীন, উড়ন্ত
জলবুদ্বুদের মতো বিচ্ছিন্ন ও ক্ষণস্থায়ী।
একটা চিঠি লেখার জন্য আমি রমনার
অন্তর্দাহ জারুলবৃক্ষের সাথে নীল গগনে
সকাল এঁকে বসে থাকি। শিকারি ঘুঘুর
মতো সারাদিন ফাঁদ পেতে শিশ দেই,
কাউকে পাই না।
একজনকে খুব আপন ভাববো বলে
গ্রন্থের মতো স্মৃতির পাতা উল্টাই,
টিআই প্যারেডের আদলে সামনে আসা
মুখগুলোকে বিকালভর খুঁটে খুঁটে দেখি।
খুব আপন একজনকে মনে মনে খুঁজি,
একজন খুব আপন কাউকে পাই না।
হৃৎপিণ্ডে কান পাতলে বুঝতে পারি-
আমি যেন বিশর্জনের প্রতিমার মতো
পরাকাষ্টা নিষ্প্রাণ, জবাপাতায় আশ্রিত
ঊষার শিশির বিন্দুর মতো খুব একা।
সাহচর্যময় এ জীবনে কেউ নেই আমার,
মনের দুটি কথা খুলে বলার।
ব্ল্যাকআউট অন্ধকারে ডুবে মৃতের মতো
আমি কেবলি বুকের ভেতর পুষে যাই
বর্ণমালাহীন শুভ্র বরফের অব্যক্ত কষ্ট।
কেউ নেই আমার, কেউ নেই আমার।