কবিতার প্রতিটি শব্দে তোমার পদধ্বনি শুনতে পাই,
কবিতার গায়ে তোমার গন্ধ লেগে আছে আষ্টেপৃষ্ঠে,
প্রতি চরণে চরণে কঙ্কণ পড়া সুন্দরী রমণী চলার ঝঙ্কার আমার কানে বাজে;
স্পন্দিত হয় হৃদয়ের ধমনীতে রক্ত প্রবাহের মত শব্দে,
নাসারন্ধ্রে ভেসে আসে প্যারিসের পারফিউমের সুগন্ধ,
এলাচির সুবাসে মুখরিত আমার চারিধার,
তোমার কমনীয় শরীরের ভাঁজে ভাঁজে দারুচিনির স্বাদ অনুমেয়।
শান্ত পায়রার মত লাল-পোলাপী পায়ে হেঁটে চলো নরম সবুজ ঘাসের উপর।
দক্ষিণা মৃদু বাতাসে উড়িছে সিল্কি কুন্তল,
মোনালিসাকেও সৌন্দর্যে হার মানায় ডান নাকের কালো তিলটি,
সেই কবে দেখেছি ঠিক মনে নেই অবন্তিকা;
পাটুরিয়া ফেরিঘাটে এমনি করে দেখা হবে ভাবতে পারিনি,
বলতে পারো বিনামেঘে এক পশলা বর্ষনের মত।
পাশাপাশি তার সাথে স্মিত হাসিমুখে দাঁড়িয়ে-
শাহ আমানত ফেরির বেলকনিতে,
যদিও তুমি আমাকে দেখতে পাওনি একদম।
স্বপ্নিল ভাবনাগুলো মরে গেছে সেই কবে,
কবিতার বুকে এখন বিস্ফোরিত হয় বারুদের গন্ধ ;
পাখিদের মত আতঙ্কিত চারিধার,
অনিয়ন্ত্রিত রক্ত প্রবাহ প্রতি শিরায় শিরায়
বুড়িগঙ্গার বিকৃত জলের মত হৃদয় জমিনে বিষাক্ত সাকার মাছের অবাধ বসবাস,
ভালোবাসার জমিন অনুর্বর,
অনাকাঙ্ক্ষিত আগাছায় পরিপূর্ণ,
এখানে আর অঙ্কুরিত হয় না কামিনী শিউলির ;
এখন কবিতায় ধ্বনিত হয় বিহর রাগিনীর করুণ সুর।
যেমনি করে বিহঙ্গ তার সদ্য ডিম ফোটা ছানাগুলো হারিয়ে,
তেমনি করে কষ্টগুলো পুষি অতি যত্ন করে,
সে তুমি বুঝবেনা অবন্তিকা।
***