আমি বহুবার তোমাকে বুঝতে চেষ্টা করেছি অনন্যা,
অনুধাবন করতে চেয়েছি তোমার হৃদয়ের লুকানো রহস্যকে ;
আমার ভাবনার জগতে অনুসন্ধান করেছি অতল গহব্বরে নেমে-
তবু তল খুঁজে পাইনি।
আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত শব্দের মাঝে খুঁজেছি সুরের মূর্ছনা,
অসুরে বিভ্রান্ত হয়েছি, হারিয়েছি সঠিক পথের নিশানা।
সিংহল সমুদ্র কিম্বা সাহারা মরুভূময় পথ পেড়িয়ে- আমাজান মহাবন অবধি,
কোথায় খুঁজিনি বলো ?
অমাবস্যার নিশুতি রজনীর অন্ধকারে শ্রীকান্তের মত শশ্মান যাত্রায় গেছি,
শবদেহের সাথে করেছি আলাপন,
শুনেছি সহস্র কঙ্কালের গোঙানি ভয়ঙ্কর শব্দ।
বিজন ময়দানে অপমৃতার সদ্য দাফন করা কবরের পাশে রাত জেগেছি,
আফ্রিকার গহীন অরণ্যে শ্বাপদ শঙ্কুলের মাঝে অবাধে সহচর হয়েছি-
তবু এতটুকু ভয় জাগেনি বুকে।
উত্তাল সমুদ্রে অশান্ত উথাল-পাথাল ঢেউ মাড়িয়ে চলেছি সহস্র নটিকেল মাইল,
তিল পরিমান ক্লান্তি আমাকে কাবু করেনি,
শুধু তোমাকে খুঁজেছি বলে।
যদি কভু পাই, টেমস নদীর স্বচ্ছ নীল জলে ভিজিবো দু'জন,
অগণিত পর্যটকের ভিরে সে এক মাহানান্দ।
অথচ কিছুই হলোনা বুঝা, কিছুই হলোনা জানা ,
প্রত্যাশাগুলো ঝরে গেলো শীতের শেষে বৃক্ষের পাতা ঝরার মতই।
আজ আমি বড় ক্লান্ত,পরিশ্রান্ত ;
সাইবেরিয়া থেকে শীতে পরিযায়ী পাখি যেমন সহস্র সহস্র মাইল পথ পেড়িয়ে হারায় তার সঙ্গীরে শিকারীর বুলেটে,
ঠিক তেমনি করে হারিয়ে গেছো তুমি।
জানি আর কভু পাবোনা ফিরে,
অজানাই থেকে যাবে, জানা বুঝা অন্ধকারে রয়ে গেলো।
***