হিংস্র জানোয়ারের মত গর্জন করিসনা আর,
অহেতুক আস্ফালন বড় বেমানান একেবারেই।
কেন এখনো বিষধর ভূজঙ্গের মত ফঁস ফঁস করিস,
নির্লজ্জ বেহায়ার মত আওরাস ফাঁকা নিরর্থক বুলি।
ধবল বকের মত গলা উঁচিয়ে চেয়ে থাকিস শিকারের প্রত্যাশায়?
হায়নার মত দলবদ্ধ হয়ে আবারও আক্রমনের ইচ্ছে জাগে?
ক্ষুধার্ত শকুনের মত শক্ত চঞ্চু দিয়ে খুবলে খুবলে খেতে চাস নর মাংশ!
নখ-দন্ত বিহীন নির্বিষ অথর্ব তবু ছোবলের জাগে লিপ্সা?
আবার তপস্যা কর, বহু প্রতিক্ষার প্রহর গুনো,
পাপ ঘিরে ফেলেছে চারদিক থেকে অক্টোপাসের মত,
ঠুলির পর্দা খুলে দেখ খুব ভাল করে।
নিষ্পাপ শিশুর পিতাকে অবলিলায় তুলে নিয়ে গেছিস,
মানবতা পদদলিত করে নির্মম নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করেছিস;
গুম করেছিস বহু মায়ের বুকের তরতাজা আত্মজাকে,
আজো বাবার পথ পানে চেয়ে আছে সন্তান,
ছেলের শোকে নির্বাক বৃদ্ধ পিতা-মাতা,
যে শিশু পরম আদরে নিশ্চিতে ঘুমিয়ে যেত বাবার বুকে,
সেই আরামের কোমল বিছানা আজ নেই।
সুবর্ণচরের সেই গণধর্ষিতার কান্না আকাশ বাতাসে এখনো ধ্বনিত হয়
সেই সব আর্তনাদ তোদের সিসা ঢালা কর্ণকুহরে বাজিবেনা জানি,
স্বজন হারনো বেদনার হাহাকারে এতটুকু মায়া জাগেনি তোদের বুকে
দিবালোকে জ্বলেছিল নুসরাতের কচি দেহখানা
তাও ভুলে গেছিস অবলিলায়।
আবারও ছিদ্র খুঁজিস ইঁদুরের মত সুযোগ বুঝে বেরুতে
চেষ্ট কর,
বাংলার অসংখ্য বীর সন্তান চেয়ে আছে সবুজ আঁখি মেলে
পেঁচা যেমনটি চেয়ে থাকে শিকারের সন্ধানে
বেরুলেই অব্যর্থ শিকারে পরিনত হবি নিশ্চিত।
***