নির্ভেজাল শীতের সকালে সোনালী সূর্য কর ঠিক যেন
তোমারই মৃদু স্পর্শ,
দারুণ রোমাঞ্চ বুলিয়ে দেয় আমার শরীরে।
হিমালয়ের শীতল বায়ুর কাঁপুনি রক্ত জমাট ধরতে দেয়না,
এক অনাবিল সুখের উষ্ণতায় হারিয়ে যাই;
চলে যাই অনুপম আনন্দের সাগর দ্বীপের দেশে,
কিম্বা ধূসর কাশবনে হারিয়ে যাই , মিশে যাই একাকার হয়ে -
শুধু তোমারই কোমল হাতের পরশে।
ভোরের কূয়াসা কাটিয়ে বাগিচার গাঁদাফুলগুলো যেমনি করে গন্ধ বিলায়
তোমার উষ্ণ নিঃশ্বাসে তেমনি সুগন্ধ স্পষ্ট আমার নাসারন্ধে।
লালপেড়ে নতুন শাড়ীর সুবাসে উজ্জীবিত হই,
ক্ষণিক হারিয়ে যাই অশান্ত সাগরের ঢেউয়ে যেমনটি হারিয়ে যায় খড়কুটো
সে তুমি বুঝবেনা অনন্যা,
যেমন করে শরতে শুভ্র মেঘের আড়ালে সূর্যটি ,
আমিও তেমনি বুঝতে পারিনি তুমিও একদিন হারিয়ে যাবে,
অরণ্যে হরিণ নির্বিঘ্নে সবুজ ঘাস খায় অবলিলায়,
নির্দয় শিকারি তীর চালায়, একটুও কাঁপেনা হাত।
তোমারও কাঁপেনি বুক, হাঁসিমুখে চালিয়েছো বেদনা অপার,
মুখে নয় - একেবারে বুকে,
বুক চিরে অবিরত রক্তক্ষরণ আর-
তোমার দেয়া বেদনা গুলো বয়ে বেড়াই,
সেই মোর বড় নৈবেদ্য।
***