প্রত্যাশার তরীখানি আজো ফেরেনি আড়ংঘাটায়,
আড়কাঠির মত বার বার এসেছি - আবার গেছি ফিরে,
তবু আচারভ্রষ্ট হবার বাসনা জাগেনি মনে।
সজ্জানিপুণ শরীরে যখন দেখি অরুন্ধতী পরসে
ইন্দ্রনীল খচিত অঙ্গুরি ঝলকায় উঠে কোমল হাতে,
কণ্ঠে শোভে কনক হার হীরের কারুকার্যে;
সে কী অপরূপ রূপসী তুমি দেখিবো কোন নয়নে
অমরাবতীর অপ্সরী ওগো তুমি যে অনন্য অনন্যা।
আজি উৎপিষ্ঠ হৃদয় আমার চাহে উৎপিঞ্জর হতে,
মৃগনয়না চক্ষুপানে চাহিবার অনুনাদ ব্যর্থ চেষ্টা মোর;
অনুরঞ্জনের তরে নয়, অনৃত আশ্বাস নয়-
অনুরাধার তরে যেমনি করে গোটা ধরণী চায়-
তেমনি করেই চেয়েছিলাম।
অনৌদার্যে কভু ভাবিনি তোমায় অনন্যা,
নিঁখাদ অনুরাগেই অনুরক্ত যেনো সহস্র বছর ধরে।
অশরণে স্মরণ তুমি, আমার হৃদয়ে অনুরাগের উদীপ্ত শিখারূপী,
আশুতোষ প্রেম পূজারীর হয়ে মানবী দেবীর আসনে রেখেছিলাম।
সে তরী আর ফেরেনি ঘাটে,
তোমার অসূয়ার কাছে হেরে গেছি,
কোন অহীশ্বরেও তারে পারেনা ফেরাতে।
***