ভরা যৌবনে নদীর অশান্ত ঢেউগুলো আছড়ে পরে বেপরোয়া,
অকাতরে পাড় ভাঙ্গে, সলিলে মিশে যায় জমিনের মৃত্তিকা;
বাতাসে দোল খাওয়া সবুজ ফসল ভেসে যায় ভাটির দেশে,
অপলক চেয়ে চেয়ে দেখে হাড্ডিসার পরিশ্রান্ত কৃষক,
চোখের কোনে জলের ছিঁটেফোঁটাও নেই এক বিন্দু,
ঘামে ঝরে গেছে সেই কবে,
বুকে পাষাণ বেঁধে সয়ে যায় অব্যক্ত বোবা কান্নায়।
যেমন করে নিশিদিন আমিও সয়ে যাই বিরহ যন্ত্রনা,
যা দেখানোর নয়।
কৃষকের কচি ফসলের মতই হারিয়ে গেছে বুকের পাঁজর ভেঙ্গে,
হৃদপিণ্ডে বিরামহীন রক্ত ঝরিয়ে।
নদীতে আবার পলি পরবে,জেগে উঠবে ফসলী জমিন,
প্রত্যাশায় বুক বাঁধবে নতুন ফসল ফলানোর তরে কৃষক,
অমিয় তৃপ্তিতে ভুলে যাবে সেই ভাঙ্গনের কষ্টগুলো,
আমার কষ্টগুলো ভুলবার নয়, হৃদপিণ্ডে রক্তক্ষরণ বন্ধ হবার নয়,
হারিয়ে যাওয়া সেই অনন্যা আর ফিরে আসবার আসবেনা ;
নতুন করে আবার চাষাবাদ হবেনা প্রেম-প্রনয়ের।
স্রোতের অনুকূলে ভেসে গেছে বহুদূরে, অচেনা সাগর দ্বীপের দেশে,
কোন এক বণিকের সওদাগরি মধুকরে সওয়ার হয়ে,
আজি রাণীর বেশে কত শত দাস-দাসীর ভীরে,
সবই ভুলে গেছে অনন্যা।
অথচ- আমার বুকের পাঁজরে হৃদপিণ্ডে রক্তক্ষরণ অবিরাম,
ভুলিতে পারিনা কোন মতে।
            ****