রত্নদ্বীপের রমণী ভেবে আলেয়ার পিছু ছুটেছি বহুদিন,
বুঝিনি আমি একদম, বুঝিনি তোমারে অনান্যা;
মহা কল্লোলে বিভোর ছিলাম রত্নপ্রভাই শুধু দেখেছি,
কুসুমে কীট থাকে ভাবনায় একবারও আসেনি মোর।
নবপল্লবঘন অবারিত সবুজের মাঝে খুঁজেছি সৌন্দর্য
তিমির গগনে গুনেছি দীপ্তিভরা নয়নে অযুত নক্ষত্র,
তরুশাখে শুনেছি নিশিজাগা বিহঙ্গের পাখাঝাপটানির শব্দ;
বড় আকিঞ্চন ছিল মোর হৃদয় আসন জুড়ে
অহর্নিশি উর্বর ভাবনায় জমিনে জ্যোতিষ্মান ছিল সে,
কোন অদৃশ্য অনলে পুড়ে গেছে সব স্বপ্নগুলো।
এখন সরসীর পাড়ে দাঁড়িয়ে নিশ্চল জলে নীলপদ্মের কান্না দেখি,
স্নিগ্ধ বিকেলে দেখি সাথীহারা বিহঙ্গের আহাজারি।
উপহাস আর বিদ্রুপে আহত - জর্জরিত হই
শীর্ণদেহ হিমগিরিদেশে টেনে নেই নিষ্ফল জেনেও,
গভীর মনস্তাপে কষ্টগুলো বয়ে বেড়াই -
তবু এতটুকু অভিযোগ অনুযোগের তীর ছুঁড়িনি।
অমরাবতী ছুঁয়ে আছ তুমি- অসীম সুখের পরসে,
আর আমি নরকের যন্ত্রনায় পুড়ি অহর্নিশি এই মর্তলোকে,
যা দেখাবার নয়, যা দেখা যায়না,
সে যন্ত্রনা শুধু একান্ত আমার।
                    ***