তোমার অধরসুধার কথামালায় বিভোর ছিলাম অসম্ভব রকমের ,
বুঝেছি আমি সায়াহ্ন বেলায় হেমচন্দ্র নয় -
সে ছিল আচারভ্রষ্টা রমনীর উপহাসের বহিঃপ্রকাশ।
হুতাশনে জ্বলেছি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি মত অবিরত,
কোন এক ধূরসসন্ধ্যায় বিহঙ্গেরা নিশিবাসের তরে নিঃশব্দ মিশেছিল বৃক্ষশাখে,
ঝিঁঝিপোকাড় তীব্র শিশ ধ্বনি তীব্র বাজছিল কানে,
প্রণয়বিধুরা রমনী সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালছিল ঠাকুর ঘরে।
তিমির গগনে তখনো সপ্তর্ষি দৃশ্যমান হয়ে ওঠেনি,
হিমগিরি তটে মানুষের আনাগোনা একেবারেই ছিলনা,
নিরব নিস্তব্ধ ক্লান্ত পৃথিবীর বুকেও নিরবতা;
নির্ভেজাল উপহাসে আমি গভীর মনস্তাপে পুড়ে চলেছি অবিরত।
অথচ তুমি এখনো উপলব্ধি করনি দহন জ্বালা কতটা যন্ত্রনার,
সে শুধু আমারই, যাকে খুব যত্নে লালন করে চলেছি হৃদয়ের গভীরে।
সে তুমি বুঝবেনা অনন্যা,
পাথরচাপা ঘাসগুলোর যাতনা যেমনি করে বোঝেনা কেউ।
***