প্রভাতপাখির গানে সেদিন ভেঙ্গেছিল ঘুম
শয্যাছেড়ে উঠে দেখিলাম তারে,
চিরস্মৃতিময় আজো, চিরঅম্লান রয়ে গেছো মোর আঁখিপাতে।
তোমার করুণাধারা বয়ে চলে অহর্নিশি,
চন্দ্রকরোজ্জল রজনীতে মায়াবিনী ছায়া ফেলে চলে মম অন্তর দেশে,
অনিদ্রনয়নে চেয়ে দেখি ক্ষীণশশীরেখা পল্লবের ছায়াঘন অরণ্য মাঝে,
সেতো তোমারই মুরতি অবিকল অবিকৃত।
বেদনার বিচ্ছেদ ক্রন্দন কভু পারনি বুঝিতে প্রিয়া,
ভয়ঙ্কর রুদ্রমূর্তি আমারই সমূখে বিমর্ষ আভাস,
নির্লজ্জ নিগুঢ় জীবন রসে বৃথা বিভোর অন্তগৃহ আমি;
শ্রান্ত শীর্ণদেহে বিশ্বতটে দীপশিখা জ্বালাতে চেয়েছি,
কৃষ্ণপক্ষের পর কোন এক প্রদোষকালে হঠাৎ মঙ্গলশঙ্কের ধ্বনি,
যখন বহেছিল শোকাশ্রুধার অবিরত আঁখিপাতে ;
তবু দীপ্তিভরা নয়নে চেয়েছি অভিমানীর তরে;
তবু আসেনি,
ঘোর অমাবশ্যার অন্ধকারেই রয়ে গেছি,
জয়ঢাক বাজেনি,
বাজিবেওনা কোনদিন কোন কালে।
***