পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনে সেই বুঝি শেষ দেখা
তারপর বিশটি বছর কেটে গেছে, হয়তো মনেও নেই তোমার,
মনে রাখবার কোন কারণও একদম নেই;
অবলিলায় ভুলে গেছো সেই মধুময় ফেলে আসা স্মৃতিগুলো।
বৈশাখী মেলায় সাদা লালপেড়ে শাড়ীতে প্রথম দেখা,
ছাতিয়ান তলে শান বাঁধানো বেদিতে বসে ছিলে একমনে ,
হাজারো মানুষের ভীরে তোমাকে আলাদা লাগছিল,
একদৃষ্টে দেখেছিলাম গভীর তন্ময়তায়,
মনের গহীনে এক অজানা ঝড় উঠেছিল ,
সাহস নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম একেবারে বেদির ধারে,
হাঁসি মাখা মুখে বলেছিলে, - বসো।
অপরিচিত অথচ মনে হয়েছিল কতদিনের চেনা এক সারথি।
তারপর পাঁচটি বছর কেটেছে অজস্র স্মৃতির ভীরে।
প্যারালাল চলেছি পদ্মার কাশবনে, চন্দনার শ্মশানঘাটে, শারদীয় উৎসবে পূজামণ্ডপে।
আজ কত বদলে গেছ তুমি, সম্পূর্ণ অন্য মানুষ,
পোড়াদহ রেল জংশনে তার সাথে খুব বসেছিলে রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের অপেক্ষায়,
ভিন্ন ট্রেনের শত শত যাত্রীর মাঝে আমিও ছিলাম অনতিদূরে,
একবারই শুধু দেখেছিলে আমায়,
বড় বিরক্তির ছাপ তোমার চোখেমুখে স্পষ্ট লক্ষ্য করেছিলাম;
সেই পুরনো তোমাকে আর মেলাতে পারিনি।
নারীরা এমনি বুঝি হয় ?
যার ভালোবাসার মূল্য দিতে আজো আমি বিরহ-বেদনায় পুড়ি,
এখনো ফিরে যাই ছাতিয়ান তলায়,পদ্মার কাশবনে শেষ বিকেলে,
অথবা চন্দনার পাড়ের শ্মশানঘাটে, শারদীয় উৎসবের পূজামণ্ডবে।
কোথাও মোলেনি দেখা, আশাহত হৃদয়ে ফিরে আসি বাট বার;
অথচ তুমি কিনা আজ কত বদলে গেছো!
এখন ভাবনার পৃথিবীর সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে তোমার বাস,
যেখানে প্রবেশের পথ একেবারেই কন্টকিত রুদ্ধ।
***