মনপবনে বহিছে শুধুই বিরহ-বেদনা নিরন্তর
ভগ্ন হৃদয়ে জ্বলিছে হেমাগ্নি অহর্নিশি,
জীবন্ত আগ্নেয়গিরি মত জ্বালামুখে তপ্ত লাভা উদগড়ায়।
তুমি আজ প্রণয়বিধুরা কোন সুপুরুষের ঘরে বণিতা,
স্নিগ্ধ সন্ধ্যায় শঙ্খ বাজিয়ে ঠাকুরঘরে জ্বালো মঙ্গলদীপ।
রত্নপ্রভা হাঁসিতে ছড়াও অনাবিল আনন্দ লহরী,
আমি রদ্রুদগ্ধে ঝলসে যাওয়া এক বিবর্ণ মানুষ,
আমার চারিদিকে শুধুই উপহাস আর উপদ্রবের তীব্র স্লোগান, অবলিলায় গায়ে মাখি লোক নিন্দা অতি যত্নে।
হিমগীরি তটে কিম্বা সিংহল সমুদ্রপাড়ে এখন আর খুঁজি না তোমায়;
তোমাকে খুঁজেছিলাম চন্দ্রকরোজ্জ্বল রজনিতে সহস্র বার,
হেঁটেছি সহস্র মাইল দূর্গম কণ্টকিত পথে,
নির্ভীক সৈনিকের মত ছিল সে পথচলা।
যেমনি করে তমসা পাড়ে বাল্মীক কোঞ্চ-কঞ্চিরে খুঁজে ছিলেন গভীর তন্ময়তায়,
ব্যধের তীর বিদ্ধ হয়ে খুন ঝরাবার প্রত্যাশায় নয়,
অথচ তাই দেখেছিলেন তিনি বড় বেদনাভারে।
আজ আমার বুকেও সেই বেদনা উৎসারিত হয়
হৃদপিণ্ডে অবিরাম রক্তক্ষরণে নিঃস্তেজ দেহখানা বড় ক্লান্ত,
তবু এতটুকু অভিযোগ নেই অনন্যা,
তার কোন অধিকারও দাবী করবার নেই একদম।
বেদনাগুলো আজ আমার বড় আপন,
তাকে আলিঙ্গন করে বেঁচে আছি,
সে এক অন্য রকম বাঁচা।
              ****