হেমন্ত গোধুলির পড়ন্ত বেলায় তোমার স্নিগ্ধ হাসিটা আজো চোখে ভাসে,
অমলিন সেই হাসির মায়াবী অন্তর্জালে এখনো বন্দি আমি।
অনেকগুলো যুগ কেটে গেছে অথচ বন্দিত্ব কাটেনি,
মোনালিসার রহস্যময়ী হাসির মত আজো অজানাই রয়ে গেছে।
জানিনা এখনো হাসো কি আগের মত?
চন্দনার পাড়ে নিয়মিত হাঁটো কি'না মন্থর গতিতে,
সন্ধ্যার আভা নামিলে যেমন করে জলাশয় থেকে হাঁসগুলো ঘরে ফেরে ধীর পায়ে।
শশ্মান ঘাটের বটতলায় হেমন্তের শেষ বিকেলে
জনমানব শূন্য নিঃস্তব্ধ ভয়াল অন্ধকার রজনী কেটেছে কত,
তবু এতটুকু অশরীরি শিহরণ জাগেনি মনে।
পাশা-পাশি বসে কত স্বপ্নের জাল বুনেছি
তবু শেষ হয়নি গল্পের, অফুরানই রয়ে গেছে,
দল বাঁধা শেয়ালের হাঁক-ডাকে গল্পের রণ ভেঙ্গেছে।
হৈমন্তীর মৃদু শীতল বাতাসেও সেইদিন কাবু করতে পারেনি,
মনে আছে অনন্যা?
তুমি বলেছিলে- বটবৃক্ষ স্বাক্ষী রেখে তুমি আমায় সিঁদুর পড়িয়ে দাও,
তারপর হারিয়ে য়াই অচেনা সাগর দ্বীপের দেশে,
জানি আজ হয়তোবা কিছুই রাখনি মনে,
অথচ তোমার শরীরের উষ্ণতা আজও অনুভব করি স্পষ্ট।
***