স্রোতস্বিনী  মত এঁকেবেঁকে বয়ে চলে জীবনের পথ,
অমসৃণ বন্ধুর পথে শত বাধা ডিঙিয়ে চলেছি অবিরাম,
জানিনা কোথায় ইয়ার শেষ।
কত হেরিলাম অরণ্য মাঠ-ঘাট বিচিত্র জনপদ -
নয়ন মেলিয়া দেখিলাম কত সৌন্দর্য কিংবা কদর্য নিশুতি রাত।
দিবাকরের আলো দেখেছি সবুজ বৃক্ষের বুকে
ফসলের মাঠে দেখেছি বাতাস- সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো দোলা দিয়ে যেতে।
আষাঢ়ের অবিরাম বর্ষণে ভেজা মৃত্রিকার বুকে বারির জলধারা
সেউ দেখেছি কতবার ;
অবাক বিস্ময় দেখেছি নীল আকাশের উদারতা,
বিশাল সাগরের বুকে বিস্তর জলরাশি-
খুব কাছে দেখেছি তার উত্তাল অশান্ত ঢেউের  মাতম।
খুব ভোরে শান্ত পৃথিবীর নিস্তব্ধতা ভেঙে শুনেছি পাখিদের  কলকা-কলির মূখরতা,
শুধু দেখিনি আমি মানবতা।
স্বার্থ, লোভ আর  হিংসার আগুনে জ্বলছে চারিদিক,
হিংস্র জানোয়ারের চেয়েও বড় নিষ্ঠুর,
ভয়ানক আস্ফালনে ঝাঁপিয়ে পড়ে একে অপরের বুকে,
শরীরের রক্ত ছোটে ফিনকি দিয়ে
ঠিক কুরবানির পশুর মত,
মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।
সভ্যতার মুখোশে এ যেনো অসভ্যের নিরাপদ স্বরাজ ভুমি;
অবিশ্বাসের দাবানলে আজ পুড়িছে গোটা পৃথিবী,
এখন মানুষ মানুষের পাশে যেনো কোন নিরাপদ প্রাণি নয়।
         +++