বনবিহারীর মত উদাস দৃষ্টি মেলে দেখেছি তারে
জাজ্বল্যমান নক্ষত্রসম আজো আছে আঁখিপাতে;
শিঞ্জন ধ্বনি শুনেছি বসন্তনিশীথে একাকী তার
সেথা দক্ষিণা মলয় বহেছিল মৃদুমন্দ,
শুকনো পাতার মর্মর শব্দে ঝঙ্কৃত হয়েছে হৃদয়।
পূর্ণীমার ভরা চাঁদনি বৃক্ষশাখের ফাঁকগলে আছড়ে পরছে মাটির  বুকে
পরম মমতায় আলিঙ্গন করে আছে ঘুমন্ত পৃথিবী ;
নিশিজাগা বিহঙ্গের সুর আর পাখা ঝাপটানোর শব্দ ভেসে আসে কানে,
রাতের অপরূপ সৌন্দর্যকে করেছে  অলঙ্কিত,
তীর্থজল তুলে কঙ্কনপরা রমণী আলতারাঙা পায়ে হেঁটে চলে অবিরাম,
পার্বতীর মত নিঃসঙ্গ অতি সন্তর্পণে গোপন অভিসারে।
চৈতন্যসীমা অতিক্রম করে
নিঃশব্দ নীলিমায় যেমনি করে মিশে যায় নির্লজ্জ স্বপ্ন গুলো।
জানি আর কালিন্দীর পাড়ে হবে নাকো দেখা সেই অনন্যার সাথে,
কালার বাঁশরী থাকিবে না মোর হাতে,
বাতাসে ভাসিবেনা সুর লহরী রাধিকা নামে।
সকালের শবনম সবুজ ঘাসের উপর মুক্তদানারূপে জমে রবে
তোমার আলতারাঙা পা আর ভিজিবেনা জলে,
তবু তুমি তীক্ষ্ণকর্মা চিরসমুজ্জ্বল মম অন্তরদেশে।
অনন্যার চন্দ্রানন তৃণাবৃত ভূমিতে শরচ্চন্দ্রের মত শাশ্বত অম্লান
শরবিদ্ধ রক্তাক্ত হৃদয়ে স্পষ্ট আজো অনুভব করি,
অন্তহীন সেভাবনার কোনদিন হবেনাকো শেষ।
                ***