এখনো অতিথি পাখিরা ভাসিছে পদ্মার কোলে,
কৃষাণেরা রবি খেত তুলে ছোট্ট ডিঙ্গা সাজিয়ে ফিরছে ঘরে;
পাড়ের কিশোর কিশোরী নাহিছে ডুব সাঁতারে,
কানি বকেরা শিকারের প্রত্যাশায় চেয়ে আছে এক দৃষ্টে,
মাঝে মাঝে ডানকানা পুঁটি গিলছে বেশ।
ছিপ হাতে অধির আগ্রহে বসে আছে দু'জন সৌখিন মাছ শিকারি ।
চোতের বিকেলে সোনালী রোদটা তবু বেশ তেজোদীপ্ত।
কাল বোশেখি এখনও শুরু হয়নি,
কালে ভদ্রে ঘুর্ণি বাতাস চোখে পরে,
ওপার থেকে স্পষ্ট ভেসে আসে কামলাদের কোরাস গানের সুর,
এ যেন সবুজ বাংলার এক চিরায়ত বাহারী রূপ।
একটু পরেই পাখিরা ঘরে ফেরায় ব্যস্ত হবে
কর্মক্লান্ত দিন শেষ করে ফিরছে হাড্ডিসার কামলা,
সূর্যটা হেলে পরবে পশ্চিমের বাঁশ বাগানের মাথায়।
মনে পরে, খুউব মনে পরে-
এমনি এক চোদের পড়ন্ত বিকেলে
আমি আর অনন্যা ব্লকে বাঁধানো পদ্মার পাড়ে
পাশা-পাশি বসে দেখেছিলাম বিহঙ্গের ঘরে ফেরা,
সারাদিন পানিতে জলকেলি করা হাঁসের পাড়ে উঠা।
অনেকটি বসন্ত চলে গেছে অবলিলায় বুঝতে পারিনি,
স্মৃতিরা বড় বেয়াড়, মনের কোনে আছড়ে পরে,
উত্তাল সমুদ্রের অশান্ত ঢেউয়ের মত;
মুখে নয় একেবারে বুকে।
***