দূর নীলিমায় আকাশ যেখানে ছুঁয়েছে সীমান্ত
যতটা দৃষ্টি যায় দেখেছি অপলক -
একবার নয়, বহুবার অবিরাম
দত্তপাড়ার পশ্চিমে হিজলের বন পেরিয়ে সরু গলিটা মাড়িয়ে-
কত-শতবার যে গেছি,
সে হিসেব তো লিখে রাখিনি কভু।
হরিনাথের কালো জলের দীঘির পাড়েও দাঁড়িয়ে থেকেছি,
দিনের পূর্ণ রবির করেও যেখানে সাহস রাখেনা কেউ;
যদুনাথের কালী মন্দিরে কতবার গেছি
হাজারো ভক্তের ভিড়ে শুধু তুমি নেই।
শারদ উৎসবে সপ্তমীতিথি থেকে দশমী বিসর্জন অবধি
অমর নাথের বড় মণ্ডবে খুঁজেছি তোমায়,
কতজন এলো অঞ্জলি দিলো আরতিতে মাতিলো আবির মেখে,
ধূপের সুবাসে প্রতিমা হাসে ঠিক তোমারই মত,
কত সাজগোজ নতুন ভূষণে অলঙ্কারে।
সেই কবে, কতদিন আগে তোমাকে দেখেছি ঠিক জানা নেই,
আজ বড্ড মনে পড়ছে,দেখতে সাধ জাগছে,
তবু এত অপেক্ষা,চাতকের মত চেয়ে আছি
জলের তৃষ্ণা মেটাতে নয়, নয়ন জুড়িয়ে দেখবো বলে।
আচ্ছা অনন্যা তুমিইতো বলেছিলে,
-তোমার দৃষ্টির বাইরে যাবোনা কখনো,
সে আমি কল্পনাই করতে পারিনা।
অথচ- আজ সবই বেমালুম ভুলে গেছো,
আলেয়ার মত মরুর তপ্ত বালি রাশির বুকে মিলিয়ে গেলো,
কি করে বিশ্বাস করি বলো?
আর কতটি শারদ কাটিলে তারপর আবার দেখা হবে,
ইলিশের বাঁক পেরিয়ে আবার কাশবনে হারাবো দু'জন।
শুনেছি অবণী বাবুর বুকে মাথা রেখে বেশ আছো,
তাতে আমার কোন দুঃখ নেই,
কিম্বা এতটুকু অভিযোগ অনুযোগ,
শুধু জানতে ইচ্ছে করে, বড্ড জানতে ইচ্ছে করে-
কতটা ভালো আছো তুমি?
***