কোথায় গেলো কৃষকের সেই লাঙ্গল বাওয়ার দিন
এখন দেখি কলের লাঙ্গল কৃষকের বাড়ে ঋণ।
কামলারা সব কাজের ফাঁকে হুঁকা টানতো মাঠে
এখন তারা সিগারেট ফুঁকে চায়ের দোকান পাটে।
আখের খোলায় তৈরি হতো মিষ্টি মধুর গুড়
গরুর কাঁধে জোয়াল ছিল কামলার গলায় সুর।
খেত নিড়াতে কামলার সব গাইতো অনেক গান
কোথায় গেলো জাড়ি সারি সুরে জাগতো প্রাণ।
চোত- বৈশাখে বৃষ্টি হলে বুনতো মাঠে ধান
এখন দেখি স্যালো ম্যাসিন শব্দে যায়রে কান।
চোতের শেষে সন্ন্যাসীরা ছুটতো আগান- বাগান
পরনে তাদের ধূতি পিন্দান চলতো অবিরাম।
ঢোলের তালে নাচতো ওরা কি যে মজাদার
স্মার্ট ফোনের যুগে ওসব মেনেছে ভাই হার।
পাল তোলা সেই নৌকাগুলো যায়না কভু দেখা
গুন টানিয়া উজান বাওয়া সে তো স্মৃতির আঁকা।
বর্ষাকালে পদ্মার বুকে জোয়ার যখন আসে
দাদারা সব জুত লইয়া বোয়াল ধরতে ভাসে।
কোথায় আজি হারিয়ে গেলো মধুর সেই দিন
আর কী কভু আসবে ফিরে স্মতির কাছে ঋণ।
****