যদি আমি কবি হতাম তবে খুব করে তোমাকে নিয়ে একটি কবিতা লিখতাম,
তোমাকে নিয়ে ভালোবসার কবিতা।
রাণী হেলেন,ক্লিওপেট্রা, মোনালিসা, শাহজাহানের মমতাজ -
এসব তুলনা তোমার সাথে একেবারেই বেমানান।
যদি কবি হতাম এক নতুন রোম নগরী গড়তাম,
ইতিহাস থেকে লোনাধরা নগরী মুছে দিতাম।
যদি কবি হতাম শব্দের জালে আঁকতাম তোমার মুখশ্রী -
লিওনার্দর মত কাল্পনিক নয়।
যদি কবি হতাম শ্রমিকের গড়া তাজমহল নয়,
শৈল্পিক শব্দ সুরের মুর্ছনায় অবিনশ্বর ইমারাত সৃজিতাম।
যদি কবি হতাম রবীন্দ্রনাথের সোনার তরীতে নয়,
হীরক খচিত পানসীতে ভাসিতাম গঙ্গার ঘোলা জলে,
স্রোতের অনুকূলে চলিতাম ভাটির গাঁয়ে নিরুদ্দেশ।
যদি কবি হইতাম- জীবনানন্দের মত হাজার বছর পথ হাঁটিতাম না বনলতার তরে,
কোটি বছরের স্থায়ী বন্দোবস্ত করে নিতাম হৃদয়ের রেজিস্ট্রি দপ্তরে।
যদি কবি হতাম সুনীল বাবুর বরুনার মত অহংকারী হতে দিতামনা,
তোমাকে নিয়েই রাস উৎসবে আবিরে রাঙিতাম,
যদি কবি হতাম নাদের আলী ঠিকই পদ্ম ফুলের মাথায় ভ্রমর আর সাপের খেলা দেখতো।
যদি কবি হতাম তোমাকে রাধা হয়ে দুধ বেচিতে মধুরায় যেতে হতনা
আমার কবিতাই তোমার বুকের মাঝে জড়িয়ে থাকতো,
বিরহ বেদনায় জ্বলিতনা তোমার হৃদয়,
বরুনার করুনায় নয়, সত্যিকারের আতরের গন্ধ ছড়াত বুকে,
কৃষ্ণের বাঁশরীর সুর নয়,
আমার কবিতার সুর তোমাকে ভরিয়ে রাখতো।
কবি হতে পারিনি বলে,
শব্দের মালা গাঁথতে পারিনি,
সুরের ঝঙ্কার তুলতে পারিনি,
তোমাকে ভালোও বাসতে পারিনি অনন্যা।
         ***