হরিণী চাহনি তোমার অন্নপূর্ণারূপী, কি যেন বলিতে চাহিলে মোরে,
ও আঁখি পাতে দৃষ্টি মোর অনুক্ষণ তোমারি তরে।
কাজল কালো ভ্রুঁ জুগল মায়াবী দৃষ্টি তথা,
ফেরাতে পারিনা নয়ন বন্ধু, কত যে মায়া সেথা।
উন্নত নাসিকা যেন উপমার বাঁশরীর মত
সেথা জমিছে বিন্দু বিন্দু ঘামের শিশির যত।
পোলাপী ওষ্ঠ তোমার কুসম কোমল রেশ,
নিটোল হাসিতে দন্ত আহা শরতের শুভ্র মেঘ।
কুন্তল উড়িয়ে মৃদু, বাতাসে সুগন্ধ বহে নিরন্তর,
বাতায়ন খুলিয়া চাহিয়া রহি কাঁপিছে অন্তর।
কহিবে কহিবে বলে কহিলেনা মোরে আজো
অপেক্ষার প্রহর গুনে জীবনের প্রান্ত সাঁজো।
পদ্মার সুগভীর বারি বুকে জেগেছে মরু চর
আলো ভেবে আলেয়ার পিছে ঘুরে হয়েছি পর।
জানিনা কি ভুলে তুমি সে কথা কহিলেনা আর
না শোনাই রয়ে গেলো জীবনের বেলা হলো পার।
হয়তো কোন উর্বর সবুজ ফসলের মাঠে
যেথা পাখির কলকাকলি, কোলাহলমুখর বাটে;
এক জোড়া সুখি কপোত-কপোতির মত
সেথা বহিছে স্বর্গের ন্যায় দক্ষিণা মলয় যত।
ঈশ্বরের পৃথিবীতে হয়তো সে কথা শুনিবোনা আর,
এ হৃদয়ের মাঝে জ্বলিবে অনল আরবার।
             ****