ভালোবাসার অভয় অরণ্যে হারিয়ে গেছো সেই কবে,
শরৎ বিকেলের সোনারোদে পদ্মারচরে কাশফুলের বনে।
তাঁকে আর খুঁজে কি হবে বলো?
গহীন অরণ্য মাঝে সে বিলীন, অক্ষির বহু যোজন আড়ালে,
শুভ্র মেঘেরা আলিঙ্গন করে আছে পরম মমতা দিয়ে।
নদী পাড়ের মানুষেরা ঘরে ফেরে কর্মক্লান্ত দিন শেষ করে,
সাদা বকেরা নিঃশব্দ ডানা মেলে ঘরে ফেরার তরে,
সূর্যটাও রক্তিম হয়ে উঠে দিগন্তে মিশে যেতে।
শেষ খেয়ার যাত্রীরা অধির আগ্রহে বসে আছে ঘাটে বাঁধা নৌকায়,
রাম দাস মাঝি পালহীন নৌকায় কখন ধরবে হাল।

বসে ভাবি একাকী পদ্মার বেড়িবাঁধের কোলে,
মনে পরে ভালোবাসার খেয়ায় একদিন আমিও উঠেছিলাম,
সেও এক শরতের পড়ন্ত রোদমাখা বিকেলে,
আমি আর অনন্যা কাশবনের ধারে হেঁটেছিলাম
ভালোবাসার টানে হারিয়েছিলাম  দু'জন নির্জনে।
আজ সবই বিস্মৃতির অতল গহব্বরে হারিয়ে গেছে।
যেমন করে হারিয়ে যায় অথৈই জলরাশিতে -
নাবিকের জাহাজগুলো দৃষ্টি সীমার অগোচরে,
তেমনি করেই হারিয়ে গেছে ভালোবাসা বিস্তর পথ চলার উর্বর জমিন,
অন্তহীন ভাবনার জগতে তারে খুঁজে পাওয়া ভার,
শুধু একবুক যন্ত্রনা আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায় ঘুণপোকার মত অন্তহীন।
               ****