চোতের খা খা রোদে পুড়ে উতপ্ত হয় জমিনের মাটি,
সবে শুকিয়ে যাওয়া খাল বিলের মাটি ফেটে চৌচির,
বিহঙ্গেরা তৃষ্ণায় ঠোঁট দু'টি হা করে হাঁপায়,
দুপুরের খরতাপে হালের বলদগুলো একটু ছাঁয়া খুঁজে ;
চৈতালি ফসল তুলে আনে কামলারা,
মায়াবী মুখখানা পুড়ে কালো আচারের মত হয়ে যায়,
দর দর ঘাম ঝড়ে শরীরের বসন ভিজে চপচপ করে;
তবু অকৃত্রিম তৃপ্তির হাঁসি ফোটে উঠে মুখে,
চোখে ভাসে সুন্দরের স্বপ্ন।
মেয়েরা গৃহস্থালির কাজে সারদিন কর্মব্যস্ত
বসনখানি নোংড়া ময়লায় ভরে যায়,
তবু এতটুকু অভিযোগ অনুযোগ নেই,
সবার মুখে পেটভরে খাবার দিতে পারলেই স্বস্তি
অবশেষে নিজে থাকে উপবাসী।
গ্রামের রাস্তায় ভ্যান চালিয়ে হাড্ডিসার মানুষটি যায় শহরে,
আবার ফিরতি যাত্রী নিয়ে ক্লান্ত দেহে ফিরে আসে।
কাঁধে বাঁখ নিয়ে ফেরি করে সওদা বেচে হকার,
বৌ-ঝি,ছোট ছেলে-মেয়ার ছুটে আসে হাঁক শুনে,
ছেঁড়া জুতা, ভাঙ্গা কাঁচ কিম্বা পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বদলে কেনে সস্তা দামের খাবার।
এই বাংলার প্রতিটি অলিগলি আমার চিরচেনা,
এই বাংলার প্রতিটি মানুষ আমার আপনার জন।
এই তো আমার চিরায়ত রূপসী বাংলা,
এই আমার গর্বের জন্ম মাটি।
***