বসন্তে ফোটা লাল টকটকে শিমুলের ফুল ফুটেছে কি দারুণ!
তোমার ওষ্ঠে যত্ন করে মাখানো লিপিস্টিকের মত।
বিহঙ্গেরা ঠোঁট বুলিয়ে চুম্বন করে যায় শিমুল ফুলের বুকে
কিছু ফুল ঝরে পরে জমিনের পর অকাতরে,
পথিকের পা মাড়িয়ে পিষ্ট করে যায় অবলিলায়;
একটুও ভ্রুক্ষেপ নেই কারো,
আর আমি তা অপলক চেয়ে চেয়ে দেখি।
কোন এক বসন্তের বিকেলে তুমি আর আমি -
শ্যামল ফসলের মাঠে আলপথ বেয়ে হাঁটছিলাম,
পূবের মাঠের মোড়ে বুড়ো শিমুলতলে অবিন্যস্ত ফুলের স্তূপ দেখে বলেছিলে,
চলনা কুড়িয়ে নেই;
তাচ্ছিল্যভরে বলেছিলাম- কি যে বল তুমি?
শিমুলফুল আবার কুড়ায় নাকি!
এখন রাস্তায় ধারে কিম্বা মেঠো পথের ধারে তেমন করে শিমুল বৃক্ষ নেই,
বিহঙ্গেরা কিচির মিচির শব্দে মুখরিত করেনা পারিপাশ,
যত্র তত্র পরে থাকেনা ঝরে পরা শিমুলের ফুল;
স্মৃতির পাতায় শুধু ভেসে উঠে সেই বসন্তের সোনালী বিকেল,
শুধু কানে বাজে সেই আকুতি,- 'চলনা কুড়িয়ে নেই।'
তখন বুঝিনি, একদম বুঝিনি অনন্যা,
আজ বড্ড মনে হয় কেন যে তোমার কথা রাখিনি সেইদিন,
সে যন্ত্রনা এখনো আমাকে পোড়ায় খুব করে।
হয়তো তুমি সবই ভুলে গেছ অনন্যা,
ভুলে গেছ সেই মেঠো পথ, বসন্তের শিমুল ফুল,
পদ্মার বেড়িবাঁধের শুকনো ব্লক,
যেখানে পাশাপাশি বসে তোমার শরীরের উষ্ণতা অনুভব করেছি,
সন্ধ্যায় বিহঙ্গের ঘরে ফেরা দেখেছি শুন্যে ডানা মেলে,
আজ স্মৃতিগুলো বড্ড বেশি মনে পরে।
             ****