কথা ছিলো, সে অনেক না বলা কথা,
অথচ বলা হলোনা কিছুই।
পুষ্পিত হবার আগেই যেমন কুঁড়ি ঝরে যায়
ঠিক তেমনি করেই ঝরে গেছ বৃন্ত থেকে অজান্তেই।
দূর অচেনা কোন গ্রামে কিম্বা নগরে
যেখানে কোটি মানুষের ভীরে হারিয়ে গেছ,
না বলা কথাগুলো হয়তো শুনবেনা বলেই নিরুদ্দেশ,
এখন অনুক্ত কথাগুলো বুকের মাঝে দুমড়ে-মুছড়ে একাকার,
ইটে চাপাপরা ঘাসের মত বিবর্ণ ফ্যাকাসে
সুন্দরের চিন্তাগুলো মৃত পশুর পঁচা মাংসের মত দূর্গন্ধ ছড়ায়,
সহস্র কীটের অবাধ বিচরণ সেখানে,
আর আমি তা চেয়ে চেয়ে দেখি অহর্নিশি।
ভালোবাসার উর্বর ভূমিতে এখন আর গোলাপের আবাদ হয়না,
যত্ন ছাড়াই এখানে অবাধে বেড়ে উঠে করবী গাছ,
সুমিষ্ট ফল কিম্বা সুগন্ধি গোলাপ ফোটেনা, বিষাক্ত ফল রাশি রাশি।
অসহ্য যন্ত্রনা বুকে চেপে না বলা কথাগুলো আজো রেখেছি খুব যত্ন করে,
সাগরের ঢেউয়ে চেপে না যদি কোনদিন সেই অচেনা নগরে নোঙর ফেলি,
সেই সৈকতে বালির উপর লিখে আসবো না বলা কথাগুলো,
অনন্যা, তুমি যদি পড়- জোয়ারের জলে না হয় মিশে যাবে!
তারপর লাল টকটকে সূর্যটা অস্ত যাবে অথৈই সমুদ্র মাঝে,
তারপর গহীন অন্ধকারে মিশে যাবে সব
নিস্তব্ধ হয়ে যাবে ঈশ্বরের পৃথিবী।
               ***