#_ত
কোন এক সরস বসন্তে খুব করে কাছে ডেকেছিলে,
ঠিক কোকিল যেমন করে যৌবনা বসন্তে তার কোকিলার তরে,
ঘন সবুজ অরণ্য মাঝে পাতার আড়ালে লুকিয়ে।
ভর দুপুরে সোনালী রোদের আলোকেও পাইনিকো দেখা,
অনেকটা অবহেলে চেষ্টাও করিনি একদম;
বলতে পারো নিজেকে বড্ড বেশি অহংকারী ভেবে।
দোষটা আমার নাকি বয়সের ঠিক জানি।
তারপর বহু বসন্ত কেটে গেছে অকাতরে
বৃক্ষ রাশি রাশি পুষ্পে শোভিত হয়েছে,
তীব্র গন্ধে মেতেছে কীট-পতঙ্গ ;
কোন মূল্যই দেইনি,পাশ কেটে চলে গেছি তাচ্ছিল্য ভরে,
ফিরে তাকাবার প্রয়োজন মনে করিনি একদম।
রাধিকার মত তাম্বুল ফিরিয়ে দিয়ে এখন আমি জ্বলছি দহনে
নিশিদিন জ্বলে জ্বলে এক খণ্ড পরিত্যক্ত অধাপোড়া কাঠখণ্ড,
ঠিক শ্মশানঘাটে যেমনি করে পরে থাকে অযত্নে অবহেলায়,
কেউ ফিরেও তাকায়না দ্বিতীয় বার।
কোকিল ডাকা সেই সরস যৌবনা বসন্ত আর নেই,
সে এখন বিবর্ণ ফ্যাকাসে ঘাসের মত অনুজ্জ্বল,
শতবর্ষী বৃদ্ধের রগউঠা শুকনো চামড়ার মত বিরস।
কি হবে বলো আর নতুন করে ভাববার?
জানি অনন্যা তোমার বসন্ত এখনো অমলিন,
সবুজ অরণ্য পুষ্পিত, বাহারী রঙে সজ্জিত,
যাকে বুঝতে চাইনি,বুঝতে পারিনি -
বিবর্ণ বসন্তে তাকে ভেবে শুকিয়ে যাওয়া ক্ষতকেই শুধু- ত্যক্ত করে তোলা বৈ কিছু নয়।
***