সেই আষাঢ়ের অপেক্ষায় আছি বহুকাল ধরে'
যে আষাঢ়ে অবিরাম বর্ষণে ভিজেছিলাম দু'জন ;
অনিল বাবুর পুকুরধারের বাগানে আম কুড়াবার তরে।
সবাই চলে গেলেও নানা অজুহাতে থেকেছি শুধু  দু'জন,
শব্দ করে মেঘ ডাকলে আমাকে জড়িয়ে ধরতে খুব শক্ত করে,
তোমার তপ্ত নিঃশ্বাসের সেই রোমাঞ্চ আজো অনুভব করি।
বর্ষণ মিশেল শীতল বায়ুতে শরীরে কাঁপনি ধরলে তবেইনা ফিরেছি ঘরে,
তুমি বলতে আর একটু থাকনা -
আজ ভুলে গেছ বুঝি হাজারো ব্যস্ততায়।
সোনালী কোলা ব্যাঙেরা ডেকে যেতো নানা সুরে,
ঠিক বিয়ে বাড়ির ব্যান্ড দলের মত আবহ সৃষ্টি করে।
তারপর সন্ধ্যে ঘনিয়ে এলে ভিজে বসনে ফিরেছি,
মসজিদ থেকে আজান, ঠাকুর ঘরের শিঙ্গার শব্দ কানে এসে বাজতো সুমধুর।
এখন আর আষাঢ়ে অঝরে বর্ষণ  হয়না,
মণ্ডলবাড়ীর বৈঠকখানায় মাছ ধরার দোয়ার গড়েনা কেউ;
শুধু অশান্ত মেঘের গর্জন কানে এসে বাজে।
সবই বদলে গেছে গিরগিটির রং বদলানো মত,
যেমনটি তুমি বদলে গেছো অনন্যা।

জানিনা এখন কোথায় আছ, কোন সুদূরে,
তোমার ঘনকালো সুদীঘল কেশ-পাশে সাদা বর্ণ ধরেছে কী?
নিটোল মুখাবয়বে হয়তো এখনো টোল পরেনি,
কিম্বা কপালের বলিরেখা স্পষ্ট নয়।
তবু বড্ড জানতে ইচ্ছে করে-
এখন বদলে যাওয়া বিবর্ণ আষাঢ়ে ভেজো কী আগের মত ?
        ***