সেইতো এলে ফিরে হেমন্তের গোধূলী বেলায়
যখন মোর বাগিচায় ঝরে গেছে পুষ্প রাশি রাশি,
মরুর বুকে তপ্ত বালুর মত শুষ্ক বুকের জমিনে;
ভোরের কূয়াসা ভেঙ্গে ঘাসের শিশির মাড়িয়ে তৃষিত হৃদয়ে।
এ তিমির হৃদয়ে কী আর পরিবে রবির কিরণ?
ফুটিবে কী মৃতপ্রায় বৃক্ষশাখে পলাশ বকুল,
অবেলায় ডাকিবে কী অশ্বথের পাতার আড়ালে কোকিল!
স্রোতহীন নদী আবার পাবে কী নতূন চলার গতি?
জীবনের সরস বসন্তে পাইনি তোমারে,
রবির করে ধরণী যখন ছিলো পরিষ্কার রসসিক্ত,
রাতের অন্ধকারেও শশীর আলোতে দীঘির জল ঝিলিমিলি
পুষ্পিত বাগিচায় ছড়াতো মিষ্টি গন্ধ।
আজ জীবনের অপরাহ্ন বেলায়-
এসে মোর দ্বারে কেন ডাকিছ বারে বারে,
শরীরের ত্বকে ভাঁজ পরে গেছে-
ঠিক শুকনো আঙুরের মত
সে তো আর নিটোল হবে নাকো কোন কালে,
শত শত বছরের পুরনো লোনাধরা দেয়ালের মত পলেস্তারা পরেছে খসে,
মিথ্যে মায়ার জালে তাকে বেঁধে বাড়িবে দহন জ্বালা
হৃদয় জমিনে জমিবে বেদনার অপার।
সেতারে বিরহ সঙ্গীত ধ্বনি অহর্নিশি আমারি চারিদিকে করিছে কোলাহল
প্রণয়ের সাধ সেতো কবেই মরে গেছে,
সিন্ধু তীরে দাঁড়িয়ে শুধুই শুনি ভাঙ্গনের সুর।
তবু যেনো মনে হয় তুমি আছ
আমার দক্ষিণা বাতায়ন পাশে
এইতো আসিবে সেই পুরনো নাম ধরে ডাকি।
***