দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এক পশলা বর্ষণ যেনো অনাবিল প্রশান্তি,
প্রচণ্ড তাবদাহে ফেটে চৌচির কাঠ-খোট্টা জমিন চুষে নেয় জল,
তৃষ্ণায় বুকফাটা তপ্ত মরুতে চলা উটের মত;
পুড়ে যাওয়া ফসলের খেত মুহুর্তে শ্যামল সবুজে রাঙিয়ে দেয়,
বন-বনানী অপূর্ব নান্দনিকতায় হেঁসে উঠে।
বিহঙ্গের কলকালিতে মুখরিত চারিদিক,
জোড়া শালিক জমে থাকা অল্প জলে নেয়ে নেয় পরম আরামে,
তারপর পাখা ঝাপটিয়ে পানি ঝারে,
বুড়ো কাঁঠাল গাছের ডালে বসে পাশা-পাশি চলে খুনসুটি।
দুরন্ত কিশোরেরা কাদায় লুটোপুটি খায়,
ঠাণ্ডা জ্বরে ওদের একটুও কাবু করতে পারেনা,
মায়ের বকুনিতেও ভয় পায়না একদম;
এ যে বহু প্রতিক্ষার বর্ষণ।
টিনের চালে টাপুর-টুপুর শব্দ হৃদয় জুড়ানো সুরের ঝঙ্কার তুলে,
পরিতৃপ্ত করে দেয় গরমে তপ্ত শরীরটা।
মনে পরে কোন কাল বৈশালী ঝড় বাদলের বিকেলে
তুমি আর আমি ভিজেছিলাম  নির্ভয়ে অবলিলায়।
মেঘের গর্জণে ভেজা বসনে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলে খুব শক্ত করে।

জানি আজ সবই ভুলে গেছ অনন্যা,
কিছুই রাখনি মনে।

        ***