একটি জলজ্যান্ত অব্যক্ত বেদনায় রক্তাক্ত হৃদপিণ্ড,
অঝরে রক্তক্ষরণে চাপাপড়া ঘাসের মত ফ্যাকাসে বিবর্ণ বিকৃত ।
বোবা কান্নায় বুকে পাঁজর ফেটে চৌচির
ঠিক বৈশাখ -জোষ্ঠের খড়তাপে মৃত্তিকার মত,
তবু প্রকাশের সাহস নেই,
নেই শব্দ প্রকাশের হিম্মত।
কাপুরুষের মত অসহ্য বেদনার ভারে বুকটা দুমড়ে-মুছড়ে একাকার।
কংক্রিটের ঢালাইয়ে কমল তুলতুলে ঠোঁট দুটি আটকানো,
শব্দগুলো অযথাই ভেতরে দাপাদাপি করছে,
খাঁচায় বন্দি বিহঙ্গের মত ব্যর্থ  ছটফটায় মুক্তির প্রত্যাশায়।
আঠারো হাজার মাকলুকাতে আমরাই নাকি আশরাফ,
ভাবতে পারিনা, একদম না,
দস্যু রত্নাকর সেও তো তপস্যায় মহামুনি বাল্মীকি,
আহ্ এসব কি আমার ভাবনার জগৎ?
বিশ্বাস করেন ভাবতে চাইনি, আমি লিখতেও চাইনি!

নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও বুলেটের সাম্মুখে বুক পেতে দিতে পারে যে পাখির মত ডানা মেলে,
বুলেটে এফোঁড়-ওফোঁড় হলেও সাহসী বীরের মত বুক ফুলিয়ে ছিলে জমিনে দাঁড়িয়ে,
বলো কে পারে এমনি করে?

কতটা নিষ্ঠুর হলে,
কতটা মমতাহীন হলে,
কতটা অমানবিক হলে বুলেট ফুটাতে টিগারে আঙ্গুলের চাপ পরে?
সেও কী মানুষ?
তাই বুঝি শিল্পী হায়দার কাঁদতে চেয়েও কাঁদতে পারেননি,
বুকের ব্যথা বুকে চেপে শুধু করেছেন ধিক্কার।
বিশ্বাস করেন আমি ধিক্কারও জানাতে পারিনা,
চোখের কোনে লোনা জল জমে আছে,
হীম শীতল বরফের মত, গলবার সাহস নেই একেবারে,
শব্দহীন কান্না বুকের ভেতর কুণ্ডলী পাকিয়ে একাকার-
তবু প্রকাশের হিম্মত নেই ,
আমি নির্বাক,
আমি ভীরু কাপুরুষ।
        ***