সেদিন তোমার কৃপাদৃষ্টি আমাকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করেছিল
অনুভব করেছিলাম তোমার কৃতধী কত সুগভীর।
আজ হিসাবগুলো কেমন যেন গরমিল;
ভূমিকম্পে যেমনি করে উলট-পালট করে দেয় সাজানো সভ্যতা,
উর্বর অনুরাগের ভাবনার জমিনে এখন বিষাক্ত বিষবাষ্প,
উদগিত হয় নর্দমায় জমা পঁচা ময়লার দূর্গন্ধ ;
নাক চেপে সরে যায় পথিকেরা প্রতিনিয়ত,
আর আমি তা চেয়ে চেয়ে দেখি অপলক।
নিশ্চল প্রস্তরের মত স্তব্ধ হয়ে যায় সুচিন্তার পথগুলো,
অথচ একদিন গোলাপ শোভিত বাগিচার মত ছিল....,
যখন প্যারালাল হেঁটেছি বহু পথ পদ্মা-চন্দনার পাড় ঘেঁষে
শ্মশানঘাটের বটতলায় খুব কাছা-কাছি বসে -
আগামীর স্বপ্নময় পৃথিবী গড়ার আলাপন;
অবলীলায় সবই গেছো ভুলে।
সেই সব মনে রেখে লাভ কি তোমার?
অযথাই খুঁচিয়ে নিরাময়িত ঘাকে রক্তাক্ত করা বৈ কিছু নয়।
অনন্যা - তোমাকে কখনো ভোগ্য পণ্যে ভেবে তৃষিত ছিলামনা,
নিষ্কলুষ  ভালোই শুধু বেসেছিলাম।
আজ আমি কবি হেলাল হাফিজের মত অনলের জলে জ্বলি,
ভেতরটা পোড়া মাটির মত লাল টকটকে,
জীবন্ত আগ্নেয়গিরি মত উত্তপ্ত লাভা উদগরায়
রঙিন চশমায় সে তুমি দেখতে পাবেনা একদম।
          ***