হেমন্তের হালকা কূয়াসায় সকালের কচি ঘাসগুলো সূর্যের আলোয় চিক চিক করছে,
ঠিক পদ্মার রূপালি ইলিশের মত।
ঈষৎ শীতের আমেজ পরশ বুলিয়ে যায় প্রকৃতির বুকে,
ফুলে ভেঁপে উঠে আমন ধানের খেত,
ভরা যৌবনের নদীগুলি হারাতে থাকে তার জৌলুস।
সুদূর সাইবেরিয়া থেকে অতিথি পাখির আগমনের অপেক্ষায়,
কাঁদাখোঁচা পাখি সরুপায়ে হেঁটে চলে বিলের ধার ঘেঁষে
তীক্ষ্ণ ঠোঁটে পুঁটি মাছ ধরে কানী বকেরা,
পলি মিশ্রিত মৃত্তিকা কর্ষণে হালের বলদ নিয়ে মাঠে যায় চাষী,
নবান্নের উৎসব জাগিবে ঘরে ঘরে,
পিঠা পায়েসের গন্ধ ভাসিবে নাকে।
স্নিগ্ধ বিকেলে ঘরে ফেরে ঝাঁক বেঁধে বিহঙ্গেরা-
কর্মক্লান্ত দিন শেষে
কৃষাণেরা পরিশ্রান্ত বেশে-
তবু এক বুক অকৃত্রিম প্রত্যাশা মনে।
এই আমার অপরূপ চিরায়ত সবুজ বাংলা,
এ মাটির সোঁদাগন্ধ আমার অঙ্গে জাগে,
এ আমার প্রিয় জন্মভূমি,
এ আমার বাংলাদেশ।
***