গগনের চাঁদ
ভাঙা রাত,
জেগে থাকা জোছনার পাহাড়ায়, বাকবাকুম জোড়া কবুতরের ঠোঁট, উড়াল চিঠির খাম,
প্রেরক আর প্রাপক, নাম বরাবর নাম;
এই বা' পাঁজর,
হৃদয়ে গিরিখাত।
উজানীর সংস্রব, ভেসে যায় ভাটায় রাতের চাঁদের মতন,
রূপোর থালা নদীর পাতাল ফুঁড়ে।
চোখ আঁটকে থাকে, নিগুঢ় রহস্য সম্যক!
মাঝি ছেড়ে দিয়েছে না'ও, গুন টানা পাল ছুঁড়ে।
দূরে থাকা ঢেউ,
কিনারা ছোয় কেউ!
নগরের মাথায় সব স্থিরতা, নগরী মিশে যায় কোলাহল!
লিঙ্গতা নেই, কারুকাজে বিচিত্র দহন।
গভীর রাত, নির্ঘুম প্রেম!
দু'চারটা কুকুরের ঘেউঘেউ।
মায়ায় টান, সোডিয়াম লাইট ছুঁড়ে ফেলে
তাকে
দেখে অপলক, নির্বাক প্রেতাত্মা!
পঁচে গেছে বাহন, কোল্ডস্টোরেজ মাইনাস টু;
মন যন্ত্রের,
অনেকটা গহ্বর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঘা!!
অববাহিকায় সমান্তরাল,
বেঁচে ফেরা শামুকের খোল; সে লুকোয়!
মুক্তোর মত ঝিনুকের রত্নগভীর বাসস্থান
প্রেম প্রেম খেলা করে সাগরের উত্তাল।
সে স্কেটিং এর মত করে হয়ে ওঠে প্রেমিক,
প্রেম মাতাল।
এবার সময়,
ফিরে এসে গেঁড়ে বসে
কুন্তলবাগের নির্জনতায় আড়ি পাতে রংধনু,
দিশারী, জনম ভরে রপ্ত করি তার সাতরঙা সুর।
ঝংকার বাজে কানের লতি ছুঁয়ে, আমি অবাক হই;
কখন কিভাবে যেন কপাল ছুয়ে সিঁথি বরাবর লেপ্টে গেছে সিদুর।
নিরিবিলি, নবীনগর
১৪/৬/২৩