এই যে তাকালেই খরস্রোতা নদী দেখো বহমান,
পরিমাপ করে দেখেছে মন, কয়েকটা আমার দুঃখের সমান!
কখনো যদি চর পরে হেথায়, ভেবে নিও জেগেছে আমার সুখ,
এতদিন বয়ে বয়ে আগলে রেখেছে তবু তারে এই চিতল বুক।
সে কাতরায় চরের ধূ ধূ বালুকণার মতন, ভেবেছ কখনো, কেনো কাঁদা না হয়ে বালুর প্রসব হয়?
দেখেনা ঘেঁটে কেউ এই যে মাঝখানে চর, কতটা হয়েছে পানির গভীরে ক্ষয়!
যতটা তাকে দেয়ার ছিল পরিপূর্ণ সে ঝুড়ি, এরপর এখানে জন্মেনা শস্য সব শ্রমিক বুভুক্ষু,
তাও খেটে মরে গিয়ে তোমাকে দেই সব,তারপর আচমকা ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়ে আসি নিজের দুক্ষু!
আমি এক গভীর নদীর বুকে দুঃখ চর;
সবকিছু এই জলের, শুধু আমিই পর।
ফাল্গুনী হাউজিং
৩১/৩/২৪