এপাড়ে উচ্ছ্বাস সমুদ্র,
গহীনে জল,
জলের তলে মায়াবতী।
ঝিনুক শামুক কুঁড়ায়, কোল খালি, শ্যাওলায় জড়ানো অতীত চাপা মন।
শক্ত গাছটার ক্ষয়ে গেছে গোড়া,
বাসা বেঁধেছে উইপোকা,
অযাচিত গাছপোকার আবাস।
নড়বড়ে শুষ্কতা আগাতে পৌঁছেছে, মরে গিয়ে বেঁচে গেছে বিশাল শূন্যতা।
একঝাঁক বাঁশের কচি ডগা,
বেড়িয়েছে মহাকাশ ফুঁড়ে,
তার গভীরে মহা বিস্ময়।
চোখ লুকিয়ে ঘুমে ক্লান্ত স্নায়ুর কি অনুভব,কি না দেখে হয়ে যায় নিজ থেকে অন্ধ বাজপাখি।
তোমার বিকৃত মস্তিষ্ক
ছেড়ে যাওয়া পিঁপড়ার দল,
গন্ধ শুঁকে বহুদূর।
আমাদের নাক বন্ধ, চোখসমূহ অন্ধ, বাউন্ডুলে চশমার ফ্রেম; বিবেচক মস্তিষ্কে নেমেছে ভাঁটা।
কলঙ্কিত আবহাওয়া এই চত্ত্বরে
ঘুরেফিরে কাবুলি মুন্সীয়ানা,
ছেড়ে যাওয়া কাক-কবুতর,কে করে একঘর।
মুষ্টিবদ্ধ চাওয়া পাওয়ার আক্ষেপ এ হৃদ মাজার, কে জানি বললো অ্যাটাক! ব্লকের ব্যারিকেড ভেঙে।
প্রেমিকাদের বাহবা হয়ে ওঠা দুয়ার
বরাবর খোলা আয়না,
দেখা যায় চকচকে নিখুঁত চর্ম।
লোভ সামলায় জিহ্বা, মন কি অবরোধ, লালসার পুকুর যে খনন বন্ধ বহুকাল।
এ হাতে কলম আর কিছু বিচ্ছিন্ন শব্দ
খিচুড়ি রন্ধন করি কথামালার,
জ্বালানি এ অভিশপ্ত খোলা মাথা।
বরাবর চিঠি উড়িয়ে দেই প্লেনের পাখায়,ছিড়েখুঁড়ে দেয়ার অভিপ্রায় এ জঘন্য দ্রুতগামী আশার।
এই পৃথিবীকে বহিষ্কার, কন্ঠে অবরোধ
বলিনা কাউকে তুমিই মায়া,
হাত কেঁপে নষ্ট হওয়া আবদার।
সে কেন দূরের চিকচিকে প্রবালদ্বীপ,আমি হেথায় কাটি না সাঁতার।
রামারবাগ, সাভার
২২/২/২০২২