আমাকে হারাতে পারো-
এই তোমার চোখে অথবা মনের গভীর থেকে।
রাতের আবছা আলোয় মুছে দিতে পারো খণ্ড খণ্ড ইতিহাস, পছন্দসই কবিতার কয়েকটা লাইন।
হারিয়ে দাও, সাহিত্যের ঘাম থেকে দাম, দাম থেকে গুণের উৎস কিন্তু আমি কে? আমি তো একটা মানুষ!
হারিয়ে দিয়ে কতটা মিটিয়েছ হাউস?
অবশী, তোমায় কৃষ্ণচুড়ার ডালে সাজিয়ে রাখি,পাঠোদ্ধার করি সময়ের হিসাব নিকাশ তবু কেনো যেন সকাল হলে ঝড়ে যাওয়া কয়েকটা কাঠগোলাপ খুঁজে পাই।
বিশ্বাস করো, আমার লাল খুব পছন্দ।
এই যেমন কৃষ্ণচুড়া, লিপস্টিক কিবা তোমার হাত আঁকড়ে থাকলে যেমন রাগ শরীরে ভাসে সেই কৃষ্ণচুড়ার লাল।
দুঃখ পেয়েও যখন চোখ পেকে হয় লাল!
কেমন কাটছে পায়ে পায়ে হেঁটে চলা দু'জনের আজকাল?
এই চোখে নক্ষত্রদের বিদায় দেখি, কিন্তু আমার দর্পণে তারা অবিকল তোমার মতন ঘোর বিরোধী হাওয়া।
কেন লুকিয়ে যায়, কেন ঝুঁকি নিয়ে পরে যায় আকাশ হতে।
আমার কি আকাশ হওয়া মানায়?
যেখানে উঁকি দেয় মেঘমালা, রোদের সিংহাসন।
থেকে থেকে কি ইতিহাস হয়ে আছে আমার প্রিয় আসন?
আমাকে বলবে একটু-
তোমাকে কি কেউ ভেঙেচুরে চুরমার করে দিয়েছিল কখনো অণু?
আকাশ আর নদীর মাঝপথ টুকুন যেমনটা ভেঙে দেয় সাতরঙা রঙধনু।
সাভার ডিওএইচএস
৪/৫/২৪