চলো জোছনা উপভোগ করি।
-কেনো? সময় আমাদের উপভোগ করতে পারে না? দোষ আছে?
-না, তা নয়। তবে জোছনা তো হাজারটা জোড়া ফুলের দিকে এক সময়ে দৃষ্টি ফেলতে পারে। আমরা তো তা নয়।

ভালোবাসলে, অনেকগুলো চোখের দৃষ্টি জাগে, ঠিক চাঁদের পাশে অমীমাংসিত তাঁরকার মতন।

আজ রাতটা জেগে থাকি।
-কেনো?
-অন্ধকার উপভোগ করি।
-চোখ বুঝলেও অন্ধকার উপভোগ হয়। জেগে শরীরের অবক্ষয়ের কি মানে?
-তোমার পছন্দ না তাই না?
-সব পছন্দ মিলে গেলে স্যাক্রিফাইস করার মানসিকতা থাকে কি?

চুপ থেকেও তো দেখি ভালোবাসা হয়।
       শুধু কপালে কপালের আয়ুরেখা থাকতে হয়, মনের মধ্যে একটা মনের বিহঙ্গ কোকিল কুহু ডাকতে হয়, সকালের দোয়েলের ডাকতে হয় ঘুম ভাঙানো এলার্ম-ঘড়ির মতন।
তবেই তো ডেকে যায় গভীর অহর্নিশ।

মনের গভীরে সব উপভোগ্য হয়ে ওঠে, যেমনটা দুঃখ মিশ্রিত জলোচ্ছ্বাসও দারুণভাবে গ্রহণ করে চোখ।
কেউ কারো না হই, সব জোছনায়, সব চাঁদে, সব রাতে, সব সহিষ্ণু ক্যানভাসে আমাদের অদৃশ্য দেখা হোক।



এজিএস
২৫/৫/২৪