তোমায় আরেকবার ভাবতে হলে মাথায় বেঁধে দিও পাথরের পাহাড়,
এই চাপ, চিন্তা আর ক্ষুধার নার্ভকে গলা টিপে বন্ধ রাখুক মনের আহার।

মনের তাপ নিমিষেই ক্ষয়ে ক্ষয়ে হয়ে যাক তরল দশা,
কেটেছে অমাবস্যার আভা মেটেনি তব কবিতার প্রত্যাশা।
এই উষ্ণতা, কমিয়ে বিদ্যুৎ আহার বীভৎস বরফের হরর;
উঁকি দিয়ে রেখে যায় বিকেলের ঘুম তোমার সরল বহর।

এদিক দিয়ে আসে উষ্ণ অভ্যর্থনা, কগজের পাতায় পাতায় উঁকি দেয় সাজানো কথার সারি। তুমি পড়তে গেলে আমাকে, ঠিক আমার মত করে।
            এক ছদ্মনাম ধরে এগিয়ে যেতে যেতে দূরত্ব মাপি, কতহাত গেলাম সরে!

নদী হয়ে গেলে হারিয়ে দিও না ভাটায়,
পাহাড় হয়ে গেলে হারিয়ে দিও না ছাঁটায়,
সমতল হয়ে গেলে হারিয়ে দিও না হাটায়।

তুমি এই বহমান নদী, একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড় কিবা উর্বর মাটির মত ভালোবাসলে, মানুষ হতে আমাকে প্রকৃতির কাছে আসতে হতো না বারংবার।
          আমি এই বিয়োগ বিভাজনে আজ আর কারো নেই।       না তোমার, না কবিতার!

কতশত কবিতারা কবিতা হতে গিয়ে অঙ্কুরেই হয়ে গেছে রাফ,
তোমার চিহ্ন যদি না আঁকে কবি তবে বুকে বাড়ে উনুন তাপ।





ফাল্গুনী হাউজিং
১৬/৪/২৪