মন্টু চাচা প্রেম করিবে আমায় বলেছে,
তাকে নাকি একটা মেয়ে মেসেজ করেছে।

একদিন দেখি বাঁশঝাড়ের এক কোণায় দাড়িয়ে,
মোবাইলেতে কিস করতেছে কাকে যেনো সে!

এমন করেই কেটে গেলো বেশ কয়েকটা মাস,
হঠাৎ একদিন দেখি চাচা করছে হাহুতাশ।

কাছে গিয়ে বললাম,চাচা হলো আবার কি?
চাচা বলে,আর বলিসনা বোকা হয়েছি।

আমার ফোনে একটা মেয়ে মেসেজ করিতো,
ভাবতাম আমি হয়তো আমায় পছন্দ করতো।

রাত বিরাতেই তোর চাচিকে আরালে রেখে,
বলতাম কথা তাহার সনে নির্জনে গিয়ে।

আজ সকালে সেই মেয়েটা মিষ্টি সুরে বলে,
আমি যেনো দেখা করি তাহার সনে গিয়ে।

তার বলা এক ঠিকানাতে গেলাম চলে একা,
সঙ্গে ছিলো টাকা পয়সা,তোর চাচির গহনা।

বোরকা পড়া ছিলো মেয়ে নিলো একটা ঘরে,
তখন কিছু বুঝার আগেই আসে পাঁচটা ছেলে।

সবাই মিলে মারে আমায় শেষে সব দেয় রেখে,
কোন ভাবে আসছি আমি প্রাণ খানি বাঁচিয়ে।

এখন আমার সব গিয়েছে একটু ভুলের জন্যে,
হয়তো যেতো প্রাণটা তবে বাঁচলাম অল্পের জন্যে।

এখন আমি এসব কথা পারছিনা মুখে বলতে,
তোর চাচি জানিলে আমায় নির্ঘাত খুব বকবে।

এসব কথা বলে চাচা শেষে মুচকি হেঁসে-
আমায় বলে সব রেখেছে একটা জিনিস বাদে।

কৌতূহলে বললাম সেটা কি গো চাচা বলো,
চাচা তখন সেই জিনিসটা আমার সামনে ধরলো।

দেখলাম আমি সেটা তো একটা ছেঁড়া দশ টাকার নোট,
শান্ত না দিতে বললাম চাচা,ভেরি গুড ভেরি গুড।

এরপর চাচা উপদেশ দিলো শুনরে ভাতিজা বলি,
প্রেম করিসনা এই জীবনে যদিও মিলে পরি।

আমি শুধু মাথা নাড়ায় বলিনা মুখে কিছু,
চাচা তো জানেনা কত্ত মেয়ে লেগেছে আমার পিছু।