বৃক্ষরাজি প্রাণ খুলে,
হাসে পেয়ে বসন্তের আভাস,
প্রকৃতি যে করিবে ই,
আজি তার বসন্ত বিলাস।
চারিদিকে পুষ্পপত্র,
ছড়িয়ে দেয় মিষ্টি সুবাস,
ভ্রমর গুলো সুখে গান,
গেয়ে করে থাকে যে উল্লাস!
ভ্রমরের ঘুন ঘুন,
গানেতে আমরা হইযে ব্যাকুল,
বৃক্ষ ঢালে মনের সুখে,
কুহু কুহু করে ডাকে কোকিল।
কবি কুল মত্ত থাকে,
যে এই বসন্ত বন্দনায়,
রচিয়া যায় কত যে,
রচনা তাহার অন্ত নাই।
কবি কুল যে বিশ্বাস,
রাখে আপন মনে সৃষ্টিতে,
রাখিয়া ঋতুরাজকে,
তাহাদের ঐ শুভ দৃষ্টিতে।
মাঘের সন্ন্যাসী করে,
যায় এ প্রকৃতিকে নির্জীব,
বসন্তের আগমনে,
এই প্রকৃতি হয় সজীব।
বসন্তের ই বর্ণীল,
রঙ্গে সকল প্রাণ ই যে সাজে,
হৃদয়ে হৃদয়ে আজি,
ওরে নতুন সুরই বাজে।
গাছে গাছে ফুটে ফুল,
আসে নতুন নতুন কুঁড়ি,
ললনারা ফুলে ফুলে,
পূর্ণ করে তাদের ঐ ঝুড়ি।
পুষ্পে পুষ্পে সাজিয়াই,
ললনা হয় যে সৌরভিত,
বসন্ত বিলাসের ই,
স্বার্থকতা এতে থাকে নিহিত!
পুষ্প সৌরভে জীবনে,
আসে কতই না অভিলাষ,
পুষ্পসাজেতে সকলে,
সুখে করে বসন্ত বিলাস।