পরশু একটি বিয়ের দাওয়াত পেলাম,
গত কালকে তা খেতে গেলাম।
খাবারের আয়োজনে ছিলনা কোন কমতি,
তা দেখে ক্ষীধে পেয়েগেল বাড়তি গতি।
চেয়ারেতে বসে পড়লাম আমারা কয়জন,
ছয়জনে আমরা চারজনই ছিলাম গুরুজন।
তা আবার জানেওখানের কয়জন,
টেবিলে তাই ছিল বেশ আয়োজন।
সকলের আদর-যত্ন পেলাম,
আমরা সবে ভরপেট খেলাম।
এমন আপ্যায়নে অনেক খুশি হলাম,
বর-কনের জন্য প্রাণভরে দোয়া করলাম!
কমতি ছিলনা আয়োজনে, তবে কোথাও ছিলনা ব্যান্ড,
কীবিপদ! হঠাৎ চলে এল এসি ল্যান্ড।
ম্যাজিস্টেট এসে পড়ল সাথে নিয়ে পুলিশ,
সবাই মিলে করে বসল বড় একটা নালিশ।
মেয়ের বয়স এখনও হয়নি আঠারো!
তোমরা সবে এখানে কী করো?
পুলিশ দিল হানা, বিয়েতে করল মানা,
সবাই বলে স্যার বসেন করেন খানা পিনা,
আরে না না না, বিয়ে হবে না, এখানে আইনের মানা।
বরত কিছুই জানেনা, কনে ছাড়া সে যাবেনা,
সকলে আসিয়া চেষ্টা করেও বুঝাইতে পারিলনা।
বর বলে বিয়ে করতে একবারই আসিয়াছি বার বার আসিবনা,
কোনকিছুতেই কনে ছাড়া আমি যাইবনা!
ম্যাজিস্টেট বলেন,”হবে বন্ধন তবে দেখান নিবন্ধন”
সকলে বলে ভাবেন আইনের লোক করিল বুঝি অনশন!
দেখাইতে হবে নিবন্ধন এছাড়া নাই বাঁচার কোন অবলম্বন,
নিয়া আসিয়া নিবন্ধন তা দেখে সকলে করিল ক্রন্ধন।
একি বয়সে আছে ঘাটতি, মেয়ে আপনার উঠতি,
কীভাবে হতে দিতে পারি উঠতি মেয়ের ক্ষতি?
ম্যাজিস্টেট সাহেব আইনের লোক,
আইনের কথা বলবেন তা যাইহোক।
দশ হাজার জরিমানায় নিলেন মুচলেখা,
বলিলেন এমন বিয়েতে আছে আইনের মানা।
বিয়েটা ভেঙ্গে যাবে তাওযে এখন সবার মন মানেনা,
অবশেষে আইনকে বুঝিয়ে বিশেষ বিবেচনায় হল বিয়ে,
খুশি মনে সবাই নববধুকে শ্বশুরবাড়ি গেল নিয়ে।
পরের দিন গেলাম বরের বাড়ি,
কতইনা আয়োজন দেখি হাঁড়ি হাঁড়ি।
আবারও বসিলাম আমরা চার জন,
ভরপেট খেয়ে শেষ করলাম আয়োজন।
অবশেষে বলি তবে এখানেই হোক ইতি,
সব মিলিয়ে পেলাম এক আজব বিয়ের স্মৃতি!