শৈশব তুমি এসো ফিরে
তোমায় খুঁজি প্রীতিডোরে
মাতাল হাওয়ার বাদল দিনে
আম কুঁড়াবার হৈচৈ এ।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
বৌছি আর গোল্লাছুটে
ধূলোয় মাখা দুষ্টুমিতে
ঝাঁপিয়ে পড়া মাঝ পুকুরে।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
ঘাসের বোঝা মাথায় টেনে
গ্রীষ্মের খরা তাপ ভুলিয়ে
বটের তলে শীতল ছায়ে ।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
কালবৈশাখী ঝড়ের মাঝে
ভেঙ্গে পড়া গাছের ডালে
নেচে নেচে হেলে দুলে।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
মিষ্টি বিকেল পুকুর ঘাটে
মাছ ধরারই ছলে বসে
লেখাপড়ায় ফাঁকি দিতে।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
কুয়াশার ভোরে চাদর গাঁয়ে
তাল পিঠারই গন্ধে ভরা
চুলোর পাশে ঠাঁই পেতে।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
স্কুল যেতে দল বেঁধে
টিফিনের ফাঁকে খেলায় মেতে
ক্লাশ টিচারের বেত খেতে।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
ভোরের আযান মসজিদে
দাদুর পায়ের আওয়াজ শুনে
বিছানা ছেড়ে তার সাথে।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
বৈরী বাতাস চারদিকে
ঘুড়ি ওড়ার দিনগুলিতে
সকাল সন্ধ্যা ভুলে যেতে।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
নতুন শার্টের ভাঁজ পেতে
লজেন্স মুখে বাঁকা পথে
বাবার হাতে হাত রেখে।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
ছুটির দিনের উল্লাসে
নানার বাড়ি যেতে আড়ি
মামার ‘মামু’ ডাক পেতে।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
ছড়ায় ছবিতে ছন্দে
পড়ালেখার বছর শেষে
নতুন বইয়ের গন্ধে।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
ধানের ক্ষেতে রৌদ্রে
মৌ মৌ মৌ গন্ধ নিতে
অঘ্রাণের সেই নবান্নে।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
চাদরে মোড়া জ্বর গায়ে
দাদীর আদর ফুফুর যত্ন
বড় বোনের সোহাগ নিয়ে।
শৈশব তুমি এসো ফিরে
খেলার সাথীর মিষ্টি ডাকে
দিনের শেষে ঝগড়া এনে
মন খারাপের বাড়ি ফিরে।