(১)
আমি পাগল, আমি কেমন যেন?
প্রায়ই শুনি আমি এমন সব কথা,
আমি এলোমেলো, অ-গুছানো
আরো কত রকমের বার্তা,
কিন্তু আমার তাতে কোন রাগ হয় না;
হবেই বা কেন,
এতে ই যে আমার শত আনন্দ
এভাবেই যে আমি খুঁজে ফিরি
                          জীবনের ছন্দ।

আমার পাগলামি ভাল রাখে আমায়
ভেঙ্গে পড়তে দেয় না আমায় ,
সব চাপ থেকে দুরে রাখে,
মনকে শক্ত রাখে,
           দেহকে সুস্থ রাখে সব সময়,

জানো ই তো
পাগলের মন কখনো খারাপ হয় না।
তার কখনো অসুস্থতা বোধ হয় না।
কি রোদ-বৃষ্টি, কি ঝড়-
একইভাবে কাটে তার জীবন।

জানো, আমি কখনোই নিজেকে
ভাবার সময় পাই না।
মাঝে মাঝে কত শখই না জাগে -,
কত শত ইচ্ছা ই না মনে উকি মারে  ,
মনকে অস্থির করে তোলে।
কিন্তু কিছুই পূরণ করতে পারি না।

কাজ আর কাজ, শুধু কাজই করতে হয়
না আসে টাকা পয়সা, না আছে সঞ্চয়
সংসারই চলেনা, এমনি চির দুঃসময়,
অভাব আর অভাব,শুধুই অভাব,
জীবন নিয়ে ভাববো, না জুটাবো খাবার।
তারপরও তো ভাবতে হয়,
                    জীবনটা তো তুচ্ছ নয়
পাগল আমি তাই পাগলামি করি  -
পাগলামির ছলে করি কাজকে আনন্দময়।  

যখন একটু চুপ চাপ থাকি, নিজের মত থাকি
জেঁকে বসে মনে শত চিন্তা,
                    দুশ্চিন্তা রাশি রাশি।
শত হতাশা ,শত ভয়,
ভাবতে ভাবতে মন ক্লান্ত হয়;
সেখান থেকে মন অশান্ত হয়
শুরু হয় যত অশান্তি।

এভাবে কি মানুষ বাঁচতে পারে?
কেউ কি ভাল থাকতে পারে?
পারে না তাই না?
কিন্তু আমি ভাল থাকতে চাই-
কারণ পাগল যে, সেও ভাল থাকতে চায়-
নিজের ভালটা সে ঠিকই বুঝে যায়।

তাই তো আমার এত সব, যত সব পাগলামি
ভেবে রেখেছি, যত দিন বেচে থাকবো
নিত্য, নতুন ধরনের-
যতসব পাগলামি আমি চালিয়ে যাবো।

তোমরাও চাইলে ভাল থাকতে পার!!
কেমন হবে বল?

(২)
অনেকেই  আমায় বলে তোমার-
          আচরণটা যেন এবার পাল্টায়;
কখন কথা বলতে হয়, কখন চুপ থাকতে হয়
                      এই সব বুঝতে হয়।
দুনিয়াটা তোমার  মত নয়,
                    ভেবে চিন্তে চলতে হয়।
নয়তো, পদে পদে ঠকতে হয়।
আমাকে নিয়ে আছে তাদের
                   নাকি অনেক অনেক ভয়।
তারা আরো কত কথাই না কয়?

আমি কিন্তু সব বুঝি ,
কারন আমি যে পাগল, তা আমি জানি ,
তোমাদের ঠকা-জিতা,
না হয় তোমাদের ই থাক।
জীবন একটাই, এই জীবনটা আমার,
তাই যেভাবেই হোক,  না হয় হলোই
আমার জীবনটা একটু উপভোগ।

তোমরা না হয় তোমাদের মতই করলে।
তোমাদের সুবিধামতোই চলবে।