ক্ষুধার জ্বালা-কখনো কি সহ্য করেছো?
এমন পরিস্থিতি কি কখনো সামলেছো?
             যখন চারপাশে খাদ্যের সমাহার
             আর তোমার ঘরে নেই –
             ক্ষুধা নিবারনের সামান্য তম আহার,
আত্মা-তৃপ্ত করে খাওয়া তো দুরে র কথা!

বল!
সহ্য করেছো? করনি তাই না?
তাহলে তুমি কিইবা বুঝবে-
                         আর আমি কিইবা তোমায় বুঝাবো?
কতটা অসহায়, কতটা বিভ্রান্ত, কতটা বিধ্বস্ত
কতটা বিপর্যস্ত, কতটা মানসিক ভারসাম্য হীন হয়-
                                               একজন ক্ষুধার্ত।

জানি তুমি কত কি না ভাববে,
                              আর আমায় কত কিইনা বলবে
তোমার ভাবনায় সবই ঠিক, অবশ্যই তুমি ঠিক-
                                    কিন্তু বাস্তবতা সমান নয়;
চারপাশের মানুষ গুলোকে দেখ- সবার ভাগ্য সহায় নয়,
সবাই ভাল থাকতে চায়, সবাই পেট পুরে খেতে চায়
যখন জীবনে ব্যর্থতা আসে-যখন চারপাশটা ভেঙ্গে পরে
পরিহাস, পরিতাপ, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা যখন নিত্য সঙ্গী হয়
কি বা করার থাকে যখন কেউ থাকে না পাশে।

কখনো কোনো ক্ষুধার্ত পথিক কি দেখেছো,
কেউ কি কখনো,
               কম্পিত দুটি হাত পেতে, ক্ষৃন কণ্ঠে বলেছে-
আমি কিছু খাইনি বাবা, আমাকে কিছু খেতে দাও!
তুমি কি তার দিকে মানবিক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়েছ
নাকি শুধু করুণায়, অবহেলায় দায়িত্ব টুকু সেরেছো?

বল!
তাহলে তুমি কিভাবে অনুভব করবে,
কতটুকু ই বুঝবে- ক্ষুধার কষ্ট,
                               আর ক্ষুধার্তের ক্ষুধার জ্বালা।