“এমন ভাবে হেরে যাবো যে, তুই-
জিতেও আনন্দ করতে পারবি না।”
এমন একটা কথা আমি কোথাও শুনেছিলাম;
তুমিও শুনেছ হয়তো?
কথাটা যে কত বড় একটা হুমকি,
তা আজ নিশ্চয় বুঝতে পারছ।
আজ আমরা পরাজিত হয়েছি-
আজ আমরা নি:স্ব হয়েছি,
আজ আমরা সোজা হয়ে দাঁড়াবার ক্ষমতা –
ভীষনভাবে হারিয়েছি ।
কিন্তু এমন পরাজয় যে কতটা মধুর-
কতটা আনন্দের,
তা ঠিকই আমরা ভোগ করছি।
তোমরা তো বিজয়ী,
আজ আবার তোমরাই জয়ী হয়েছো
কিন্তু জয়ের স্বাদটা কী –
এখনো, নিতে পেয়েছ?
আমাদের নি:শ্বাস-আমাদের প্রশ্বাস
এখন সব তোমাদেরই হাতে;
বেচে থাকার আকুতিটায়ও- গলা চেপে ধরেছ।
তাহলে, এখন কোথায় তোদের ঢোল তবলা বাদ্য-
জয়ের আনন্দ শুরু করতে, আর কত বিলম্ব
এখন তো আমরা, নেই আর কোনখানে
তবে কেন, এখনো তোমাদের মনে এত আতঙ্ক?
কেন পারছ না এখন
প্রাণ ভরে, প্রশান্তির শ্বাস নিতে?
তাহলে চোখ বুজলে ও কি, শুধু আমাদেরই দেখ?
কি দেখ- রক্তাক্ত দেহ তাই না,
ফাটা মাথা, কাটা হাত, কতই না।
কত রকম, পাদর্শিতাই না দেখিয়েছো,
এই নিরস্ত্র, ক্লান্ত, অসহায় দেহগুলোর উপর।
তোমরা তো অপরাজেয়, মহান তোমাদের নীতি
তাহলে ঘুচাও এবার, চারপাশের নিস্তব্ধতা,
তার আগে ঘুচাও তোমাদের ভীতি
তারপর গাও,
মনের আনন্দে জয়ের আনন্দ গীতি।
কি? পারছ না তো, পারবে ও না,
কিভাবে পারবে বলো- ভাই ছিলাম তোমাদের,
একই জাতের, একই গোত্রের
একই মাটি-বাতাস, একই দেশের।
কিন্তু তোমরা আমাদের, আপন ভাবলে না,
আমাদের চাওয়াটা কি খুব বেশি ছিল?
আমরা কি এতটা-ই দোষী ছিলাম?
তাহলে, তোমরা এমনটা কিভাবে করলে -
স্বার্থের দায়ে, মানবতা বিকিয়ে, বন্য হয়ে গেলে!
শুধু আফসোস আর আফসোস তোমাদের জন্যে।